মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভিয়েনায় করোনার আইসিইউ বেডের আর মাত্র ২ টি খালি আছে!
মঙ্গলবার প্রথম লকডাউনের সংন্ধ্যায় অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে অনলাইন পোর্টাল Oeb24 জানায় ভিয়েনায় করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১৫০ টি আইসিইউ বেডের ১৪৮ টি পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে ভিয়েনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবশিষ্ট আর মাত্র ২ টি আইসিইউ বেড খালি আছে।
এপিএ আরও জানায় ভিয়েনা স্বাস্থ্য সমিতির ১৯৭ জন কর্মচারী করোনার এই দ্বিতীয় তরঙ্গে সংক্রমিত হয়েছেন। তারা ভিয়েনার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বাকীরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা কিছুটা আভাস দিয়েছেন যে, ভিয়েনায় সংক্রমণের বিস্তার কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ান সরকারের নতুন অধ্যাদেশের কারণে,ভিয়েনার হাসপাতালগুলিতে বহিরাগতদের পরিদর্শন করার ক্ষেত্রে সাধারণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের জন্য, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বা নবজাতকের মায়েদের এবং জীবনকালীন জটিল পরিস্থিতিতে মানুষদের জন্য। অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরী বিভাগ কেবল তখনই পরিদর্শন করা উচিত যদি এটি চিকিত্সাগতভাবে একেবারে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। মোট কথা বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে যাওয়া করোনা সংক্রমণের জন্য অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সোমবার সকাল ৯টা মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৭০০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। ভিয়েনার স্বাস্থ্য প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভিয়েনায় ৯,২৯১ জনের করোনার পরীক্ষা করা হয়েছিল। নগরীর মেডিকেল ক্রাইসিস টিমের মতে, মঙ্গলবার ভিয়েনায় যে ৭০০ জন সংক্রমিত লিপিবদ্ধ হয়েছেন তারা সকলেই সোমবারের পরীক্ষার। ভিয়েনায় আজ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন। এর মধ্যে একজন ২৬ বৎসর বয়স্ক তরুণ এবং বাকী ১১ জনের বয়স ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ভিয়েনায় এই পর্যন্ত মোট ৪৯,২২৩ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন এবং ৪৫৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৩৩,৫৬৪ জন। ভিয়েনায় এই পর্যন্ত মোট করোনার টেস্ট করা হয়েছে ৭,৩৮,০৬৬ জনের।
আজ ছিল অস্ট্রিয়ায় করোনার দ্বিতীয় লকডাউনের প্রথম দিন। কিন্ত বাহিরে প্রচুর মানুষের আনাগোনা ও গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। কেননা এই বারের লকডাউনে রেস্টুরেন্ট, কফি হাউজ এবং ফাস্ট ফুডের দোকান খোলা আছে।কেহ বসে খেতে পারবে কিন্ত সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। তবে খাবার নিয়ে যেতে পারবে। অবশ্য রাস্তাঘাটে প্রায় সকলকেই মাস্ক পড়া অবস্থায় দেখা গেছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৭ নভেম্বর/ জহিরুল ইসলাম