• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ভোলার উপজেলাসমূহে করোনার নমুনা সংগ্রহ ঝিমিয়ে পড়েছে

ভোলা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

ভোলার উপজেলাগুলোতে করোনার নমুনা সংগ্রহ ঝিমিয়ে পড়েছে।

ভোলায় গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হলেও পরীক্ষা না করায় করোনায় আক্রান্তের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। জেলা সদর ছাড়া অপর ছয় উপজেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও রয়েছে এক ধরনের অনীহা। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে শনিবার রাতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ মাসে (এ পর্যন্ত) করোনার স্যাম্পল (নমুনা) সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬ হাজার ১৪৭ জনের। এর মধ্যে জেলা সদরে সংগ্রহ ছিল ১৬ হাজার ৮৮২টি। দৌলতখানে এক হাজার ৫৪০টি, বোরহানউদ্দিনে দুই হাজার ৭৬৬টি, লালমোহনে এক হাজার ৬৮৬টি, চরফ্যাশনে এক হাজার ৬৮০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় এক হাজার ৬২টি ও মনপুরা উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫৩১টি। প্রথম দিকে নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রচারণা থাকলেও এ বছর তেমন প্রচারণা ছিল না। বাধা না থাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে গ্রামের মানুষ নানা কাজে শহরমুখী হন। শহরে করোনার বিস্তার লাভের এটিও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ নাথ মজুমদার ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহম্মদ। ১৩ মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের চেষ্টায় জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে স্থাপিত হয় আরটিপিসিআর ল্যাব। এ ছাড়া গ্রাম থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের একদল কর্মী। অপর দিকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষার জন্য রয়েছেন এনজিও ব্র্যাকের কর্মীরা। গেল বছর সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলা সদরে একটি ও দৌলতখানে একটি, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুনবী চৌধুরী শাওনের উদ্যোগে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় নিরাপদে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য পৃথক সেইফটি ডাক্তার চেম্বার তৈরি করা হয়। দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার জন্য একই উদ্যোগ গ্রহণ করেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, চরফ্যাশনে উদ্যোগ নেন ভোলা-৪ আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। ওই সময় এতে ব্যাপক সাড়াও পড়ে। কিন্তু এক বছরের মাথায় এমন উদ্যোগে ভাটা পড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগের গেল ২৪ ঘণ্টার নমুনা সংগ্রহ হয় ১৯৮টি। এর মধ্যে ভোলা সদরে সংগ্রহ ছিল ১৬৩টি। পজিটিভ ছিল ৪১টি। দৌলতখানে নমুনা সংগ্রহ নেই। বোরহানউদ্দিনে সংগ্রহ দুটি। পজিটিভ দুটি। লালমোহনে কোনো নমুনা সংগ্রহ ছিল না। চরফ্যাশনে সংগ্রহ ছিল ৩৩টি। এতে পজিটিভ ১১টি। তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলায় কোনো নমুনা সংগ্রহ ছিল না। এক দিন আগের তথ্য ছিল প্রায় একই রকম। জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭৬। এর মধ্যে ভোলা সদরে ৫৮। দৌলতখানে পাঁচ, বোরহানউদ্দিনে দুই, লালমোহনে পাঁচ, চলফ্যাশনে পাঁচ, তজুমদ্দিনে মৃত্যু নেই। মনপুরায় একজন। ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান জানান, পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভোলা জেলা সদর উপজেলার মানুষই করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করছে। সেভাবে অন্যান্য উপজেলায় হচ্ছে না বলেও স্বীকার করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি সবাইকে উপসর্গ দেখা দিলেই হাসপাতাল বা নমুনা সংগ্রহ সেন্টারে যাওয়ার পরার্মশ দেন।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৩০আগস্ট/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ