• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ব্যাটারী চালিত বাইক নিষিদ্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যা করণীয়ঃনাছির উদ্দীন

জহিরুল ইসলাম ন্যাশনাল ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১

বাংলাদেশের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে ব্যাটারি চালিত বাইক গুলো অন্যতম সমস্যার একটি ধাপ।তা নিয়ে সরকার ভুমিকা রাখতে চাইছে ঠিক তখনই পক্ষে বিপক্ষে বহু বাধা এসে দাঁড়িয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে তা নিয়ে লিখেছেন সাবেক স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব এ এম এম নাছির উদ্দীন তিনি তাঁর পেইজবুকে লিখেছেন চমৎকার কিছু যুক্তি এবং দর্শকদের মন্তব্য সহ বিডিনিউজ ইউরোপ আপনাদের জন্য তোলে ধরা হয়েছেঃ
এএমএম নাছির উদ্দীনঃ
প্রসঙ্গ-ব্যাটারি চালিত রিক্সাঃ ক’দিন আগে স্বরাস্ট্র মন্ত্রী মহোদয় জানিয়েছেন যে, সরকার দেশে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।হাইকোর্ট ২০১৫ সালে লাইসেন্স বিহীন এ সমস্ত ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল সারা দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও দেশের প্রায় সর্বত্র এখনো এগুলো চলছে। করোনা মহামারি কালে এদের সংখ্যা অারো বেড়েছে বলে জানা যায়।
২। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দেশের সড়ক দুর্ঘটনার ৮%-১০% স্হানীয় ভাবে তৈরী এ সমস্ত ব্যাটারি চালিত রিক্সা /ভ্যান এর কারণে ঘটে থাকে।এগুলোতে Brake ব্যাবস্থা খুবই নাজুক।সামনের চাকায় Brake থাকলেও পেছনের চাকায় থাকেনা।অনেক সময় পেছনের চাকায় Brake থাকলেও তা খুবই দুর্বল থাকে।এগুলো গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।চালু অবস্থায় Brake করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টে যায় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।ঢাকা শহরে পুলিশের নজরদারি এড়াতে এগুলো প্রায়শই অলিতে গলিতে চলাচল করে।পুলিশের গাড়ি দেখলে দ্রুত সটকে পড়ে।পুরনো ঢাকায় এগুলোর আধিক্য দেখা যায়।পথচারী বা অন্য যানবাহনকে ধাক্কা দেয়ার ঘটনা প্রায়শই চোখে পড়ে।তা ছাড়াও সারা দেশে এ জাতীয় যানে ব্যবহৃত লক্ষ লক্ষ ব্যটারির (Used Lead Acid Battery)স্হানীয় পুনঃপ্রক্রিয়াকরন ( Recycling) হতে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশ দুষণত রয়েছেই।
৩।সারাদেশে এ ধরনের যানের সংখ্যা কত তার কোন নির্ভরযোগ্য হিসাব পাওয়া যায়না।সরকার বা অন্য কেউ এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে এমন শুনিনি। এক হিসাবে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ভ্যানের সংখ্যা সারা দেশে পাঁচ লক্ষের অধিক। শুধু মাত্র ঢাকা শহরেই প্রায় ৩০০০০- ৪০০০০ ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল করে বলে জানা যায়।দুই মেয়রই এগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।পুলিশ ও এগুলো বন্ধের চেস্টা করে যাচ্ছে। শুধু পুলিশ দিয়ে এগুলো বন্ধের চেষ্টা সফল হবে বলে মনে হয়না।
৪।মনে রাখতে হবে,লক্ষ লক্ষ লোকের জীবিকা এর সাথে জড়িত।চালক ছাড়া ও নানা ধরনের ব্যবসায়িক স্বার্থ এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে।রিক্সা মালিক,ওয়ার্কশপ,ব্যাটারি ব্যবসায়ী ইত্যাদি নানা Stakeholder এতে জড়িত।একটা ব্যাটারি চালিত রিক্সা তৈরীতে প্রায় ৪০,০০০/-৫০,০০০/ প্রয়োজন হয় বলে জানা যায়।অনেক রিক্সা মালিক ঋন নিয়ে রিকশা কিনেছেন।চালকদের বিকল্প আয়ের ব্যাবস্থা করা না গেলে এদের এ কাজ থেকে বিরত রাখা দুরুহ হবে।তাছাড়া, মালিকদের বিনিয়োগ কৃত অর্থ পুনরুদ্ধার এর বিষয়টাও বিবেচনা করা জরুরী।
৫। ব্যটারি চালিত রিক্সা বন্ধের জন্যে পরিকল্পিত উপায়ে আগাতে হবে।সারাদেশে এক সাথে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া সঠিক হবেনা।পর্যায়ক্রমে এবং ধাপে ধাপে একাজ করা যেতে পারে যাতে রিকশার চালকরা বিকল্প আয় বা পেশার ব্যাবস্থা করতে পারে।রিক্সার ধরন পরিবর্তন করে সাধারণ রিকশায় রুপান্তরের জন্যে মালিকদের সুযোগ ও সময় দিতে হবে।তবে কোন অবস্থায়ই এগুলোকে মহাসড়ক বা প্রধান সড়কে চলতে দেয়া যাবেনা।এব্যাপারে যা করা যেতে পারেঃ
ক। প্রথম ধাপে,সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় এগুলো বন্ধের ব্যাবস্থা নেয়া যেতে পারে।একটা নিদিষ্ট তারিখের পরে (হতে পারে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১)এগুলো চালালে(মালিক চালক উভয়ের জন্যে) কঠোর শাস্তির(জেল,জরিমানা সহ) বিধান করা যেতে।এতে অনেক চালক/ মালিক সিটি করপোরেশনের বাহিরে রিক্সা চালানোর সুযোগ পাবেন কিছুদিন।
খ। দ্বিতীয় ধাপে, সকল জেলা শহরে একটা নির্দিষ্ট তারিখের( হতে পারে ৩০ জুন ২০২২) পরে এগুলোর চলাচল কঠোর শাস্তিযোগ্য (মালিক চালক উভয়ের জন্যে) এবং সম্পুর্ন বন্ধ করা যেতে পারে।এতে কেউ চাইলে উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়ে আরো কিছুদিন এগুলো চালাতে পারবেন।
৩। তৃতীয় পর্যায়ে,একটা নির্দিস্ট তারিখের (হতে পারে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২) পরে সারাদেশে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল কঠোর শাস্তিযোগ্য(মালিক চালক উভয়ের জন্যে) এবং সম্পুর্ন বন্ধ করা যেতে পারে।
৪। এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।প্রত্যেক ধাপের চুড়ান্ত সময় সীমা সম্পর্কে জনগনকে ব্যাপক ভাবে সচেতন করা যেতে পারে।

দর্শকদের কিছু মন্তব্য সাথে সংযুক্ত করা হয়েছেঃ

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/৫জুলাই/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ