অপহরণের ৫২ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি মাহমুদুল করিম তবে মুক্তিপণ পরিশোধ
৩০ জুন ৮:৩০ মিনিটের দিকে হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফ বাহারছড়া নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হোয়াইক্যং এর ঢালা নামক স্থানে পৌঁছালে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের শিকার হয় গাড়িচালক মাহমুদুল করিম(৩৩) প্রকাশ মাদু। অপহৃত মাহমুদুল করিম এর বড় ভাই নুরুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পহেলা জুন দুপুর দুইটার দিকে মাহমুদুল করিম কে বেদম প্রহার করে একটি টেলিফোন কল করা হয়, বলা হয় ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেবার জন্য সেদিন মধ্য রাতের মধ্যেই। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে না দিলে মাহমুদুল করিম কে জীবিত ফেরত পাওয়া যাবে না বলে নুরুল কবির কে জানান।
কোনো উপায়ান্তর না দেখে ধার হাওলাত করে সন্ধ্যা ৮ টা ৩০ মিনিটের দিকে অপহরণকারীদের দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ০১৮৩৯৫৯৮১৮১ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিকাশে প্রেরণ করা হয়েছে। পরের দিন ২ জুন ঠিক একই সময়ে আরো টাকা দাবি করে টেলিফোন করলে অপর প্রান্তে মাহমুদুল করিমের স্ত্রী তার অপহৃত স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে অপহরণকারীরা কথা বলার সুযোগ নাই বলে উল্লেখ করেন এবং অবশিষ্ট টাকা বিকাশ করার জন্য হুমকি প্রদান করে মোবাইল রেখে দেন পরে অদ্যবধি পর্যন্ত ফোন আর খোলা পাওয়া যায়নি বলে পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে বিষয়টি বিডিনিউজ ইউরোপ এর পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ কে অবগত করলে তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন।
পুলিশ সুপার ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বারবার টেলিফোনে পাওয়া না গেলেও উনারা বিষয়টি জোর তদবির করছেন বলে মাহমুদুল করিম এর বড় ভাই বিডিনিউজ ইউরোপ কে অবহিত করেন।
বিডিনিউজ ইউরোপের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর ও উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরীকে অবহিত করা হলে উনারাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে মাহমুদুল করিম কে উদ্ধারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
পহেলা জুন মাহমুদুল করিমের বড় ভাই নুরুল কবির বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি আবেদন করলে সাধারণ ডায়েরি আকারে অন্তর্ভুক্ত করে একটি কপি স্থানীয় বাহারছরা পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয় যার নাম্বার ১৯৭৬/ ২১
।
স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ সোনালী বলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি ও উল্লেখ করেন।
মাহমুদুল করিম পিতা-মৃত সালেহ আহমেদ পেশায় একজন গাড়ী চালক এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ফলে ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অপহরণের ৫২ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন ভাল সংবাদ না পেয়ে মাহমুদুল করিমের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/৩জুলাই/জই