বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধ
পর্তুগিজ পার্লামেন্টে ১৪ জুন ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি নতুন ডিক্রি জারি হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ভারত এবং নেপাল থেকে আকাশপথে বা জাহাজে করে পর্তুগালে ফিরে আসার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এবং সেনজেনভুক্ত দেশগুলো ব্যতীত পর্তুগালের উদ্দেশ্যে অপ্রোজনীয় সব ভ্রমণ নিষিদ্ধ। তবে কয়েকটি দেশের জন্য ব্যতিক্রম রয়েছে; যেমন- অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইসরায়েল, জাপান, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, চীন, হংকং, মাকাও, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকলেও ডিক্রি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের উদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ করা যাবে না। তবে পর্তুগালে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি যারা ছুটিতে বাংলাদেশে গিয়েছেন তাদের পর্তুগালে ফিরতে কোনো অসুবিধা নেই।
গত ১৫ জুন মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর হয়েছে এবং আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে তবে পর্তুগাল এবং নির্দিষ্ট দেশগুলোর মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনীয় ভ্রমণ বলতে বোঝানো হয়েছে- পেশাগত কাজে ভ্রমণ, শিক্ষা, পারিবারিক পুনর্মিলন, চিকিৎসা এবং মানবিক কারণে পর্তুগালে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই পর্তুগালে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং নির্দিষ্ট কিছু বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের কারণে পর্তুগিজ সরকারের এ সিদ্ধান্ত। ১৫ জুন ১ হাজার ৩৫০ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে পর্তুগালে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা যথাক্রমে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৫ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৫ জন। তবে ইতোমধ্যে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন আরোগ্য লাভ করেছেন।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৮জুন/জই