• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ভোলার চর চটকি মারায় আধুনিক কিল্লা স্থাপন করায় রক্ষা পেল কয়েকশত মহিষ

সাব্বির আলম বাবু ভোলা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

ভোলার চর চটকি মারায় এই প্রথম আধুনিক কিল্লা স্থাপন করায় রক্ষা পেল কয়েকশত মহিষ
ভোলা জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট এর আওতায় নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশে এই প্রথম মহিষের আধুনিক বাসস্থান বা কিল্লা। ইতোমধ্যে ভোলা সদর উপজেলার চর চটকিমারায় নির্মিত মহিষের আধুনিক কিল্লাটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ এর ফলে সৃষ্ট পরবর্তী বন্যায় খামারিদের মহিষের নিরাপত্তার পাশাপাশি রাখালদের নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম হয়েছে। নির্মিত কিল্লাটি ভূমি থেকে ৭ফুট উচ্চতায় হওয়ায় বন্যার পানি কিল্লাটিতে প্রবেশ করতে পারেনি, ফলে খামারিদের মহিষ এই বন্যায় ছিল সম্পূর্ণ নিরাপদ। পাশাপাশি এই আধুনিক কিল্লাটিতে রাখালদের জন্য রয়েছে নিরাপদ বাসস্থান, সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে কম্পোস্ট পিট । প্রতিবছর বন্যার পাশাপাশি বজ্রপাতেও অনেক মহিষ মারা যায় বলে উক্ত প্রজেক্ট এর আওতায় নির্মিত আধুনিক এই কিল্লায় থাকছে বজ্র নিরোধক দন্ড। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ভোলা জেলায় মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়নে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছে ভোলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)।
চর চটকিমারার মহিষ খামারী নাজিম উদ্দিন, আলা আমিন, হানিফ হাওলাদার ও নুরুল ইসলাম জানান, ” ঘুর্ণিঝর ইয়াশের সময় পানির উচ্চতা বৃদ্ধিপেলেও আমরা আমাদের মহিষগুলো এই কিল্লায় নিরাপদে রাখতে পেরেছি। আমাদের মহিষ ভেসে যায়নি, পাশাপাশি আমরাও এই কিল্লায় নিরাপদ আশ্রয় নিতে পেরেছি। এর আগে আমাদের কোনো আধুনিক কিল্লা ছিল না , বন্যার সময় আমাদের মহিষ ভেসে যেত, অনেক আর্থিক ক্ষতি হতো। চরে আমাদের জন্য কোন নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যকর পায়খানার ব্যবস্থা ছিলনা, কিন্তু এই প্রজেক্ট থেকে আমাদের যে এই আধুনিক কিল্লাটি দেয়া হয়েছে তাতে আমরা এই সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। প্রোজেক্টের অন্তর্ভুক্ত খামারিদের পাশাপাশি অন্যান্য খামারিরাও এই বন্যার সময় তাদের মহিষ গুলো কিল্লায় রাখতে পেরে অনেক দুশ্চিন্তা মুক্ত ছিল।”গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান জানান, এখন মনে হচ্ছে যে আমরা সত্যিই উপকূলীয় এলাকার মহিষের জন্য ভাল একটা কাজ করতে পেরেছি”। উল্লেখ্য, এসব কিল্লায় সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর মাধ্যমে ভোলা জেলার সম্ভাবনাময় এই মহিষ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার এসইপি প্রকল্প ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, আরো কয়েকটি চরে আধুনিক কিল্লার নির্মান কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। যাতে করে মহিষ খামারীরা কোন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং রাখালরাও নিরাপদ থাকতে পারে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৭জুন/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ