• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ভিক্ষা নয়, কাজ করে খেতে চায় রোকসানা ॥ বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা

সাব্বির আলম বাবু ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

ভিক্ষা নয়, কাজ করে খেতে চায় রোকসানা ॥ বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা

রোকসানা বেগম, দুই সন্তানের জননী। বয়স আনুমানিক ২০/২২ হতে পারে। তবে অর্ধাহারে অনাহারে কঙ্কালসার রোকসানাকে মনে হয় যেন, ষষ্টোর্ধ বৃদ্ধা। ৩ মাসের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে লালমোহন বাজারের বিভিন্ন দোকানে ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাকে। এসময় রোকসানা জানায়, মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে ভাল লাগেনা তার, কাজ করে খেতে চায় সে। সরকারি-বেসরকারি কোনও সাহায্য সহযোগিতা পেলে ভিক্ষা ছেড়ে দিবে সে। তার এ স্বপ্ন পূরণে সমাজের সহযোগিতা কামনা করেছেন রোকসানা। সে বোরহানউদ্দিনের হাসাননগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মির্জাকালু এলাকার ডাক্তার বাড়ির মৃত নাছির মেস্তরির মেয়ে। প্রায় ৭/৮ বছর আগে একই উপজেলার দালাল বাজার এলাকার মৃত আতরজমার ছেলে সিরাজের সাথে বিয়ে হয় তার। সিরাজের পিতার মৃত্যুর পর তাকে যিনি দত্তক নিয়েছিলেন, বিয়ের পর সেই বাড়িতেই থাকতেন রোকসানা। তাদের ঘরে হাবিবা (৪) ও তাসপিয়া (৩ মাস) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাসপিায়ার জন্মের আগেই রোকসানা কে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় স্বামী সিরাজ। পরে শশুর বাড়িতে ও ঠাঁই হয়নি তার। তাই জীবিকার তাগিদে ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছে সে। রোকসানা জানায়, প্রায় তিন বছর আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়, এর বছখানেক পর বাবা নাছির মেস্তরি ও চলে যান পরপারে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে সে ছোট। ৭/৮ বছর আগে সিরাজের সাথে বিয়ে হয়েছিল তার। দিনমজুর সিরাজের রোজগারের চলতো তাদের সংসার।
প্রায় ৫/৬ মাস আগে হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তার স্বামী। পরে স্বামীর বাড়ি থেকেও তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তাই দুই সন্তান ও নিজের জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভিক্ষে করছেন তিনি। ভিক্ষের টাকায় ৫শ টাকা ঘর ভাড়া দেন তিনি। করোনার মধ্যেও পাননি সরকারি বেসরকারি কোনও সাহায্য সহযোগিতা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে সরকারি একটি ঘরের জন্য বারবার গিয়েও কোনও ঘর পাননি ।
হাসাননগর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সাফায়েত ভূইয়া বলেন, আমার কাছে এ নামের কেউ আসেনি, তবে আসলে যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করবো। হাসাননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মানিক হাওলাদার বলেন, রোকসানা নামের কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে আমার এলাকার কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করুক, এটা আমিও চাইনা। সে যদি আমার কাছে আসে, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে রোকসানাকে কর্মে ফেরার স্বপ্নপুরণে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে এ ০১৭১২-৩৮৭৩২৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে সে। নাম্বারটি বিকাশও করা আছে। সমাজের বিত্তবানসহ সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ ও মাথা গোজার ঠাঁই হবে রোকসানার, এমনটাই প্রত্যাশা তার।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৪জুন/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ