রোজিনা ইসলামের উপর বর্বর নির্যাতন কারি অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চদূর্নীতিবাজ মন্ত্রণালয় হিসেবে দেশের জনগণ অবগত ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
গত১৭ মে দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র অনুসন্ধানী প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম কে মন্ত্রণালয়ে ৬ঘন্টা অবরুদ্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। উক্ত সাংবাদিকের উপর শারীরিক ভাবে নির্যাতনকারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম দারুণ উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন করা সর্বোচ্চ দূর্ণীতিগ্রস্ত একজন অফিসার। মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ও এই কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারো কোন সাহসও ছিল না বলে জানা গেছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাসের পর মাস বিদেশ ভ্রমণ ছিল অতি মামুলি বিষয়।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর এই জেবুন্নেছা বেগম চড়াও হওয়ার কারণ ছিল তিনি এই জেবুন্নেছা বেগমের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আসছিলো বেশ কিছু দিন আগে থেকে।
সচিবালয়ে যে বিশাল সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে তার প্রকৃত প্রমাণ হলো সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর অত্যাচার।
এই কাজী জেবুন্নেছা বেগমের কানাডা’র বেগম পাড়ায় রয়েছে ৩ টি বাড়ি,পূর্ব লন্ডনে ১ টি,এবং ঢাকায় ৪টি বাড়ি,গাজীপুরে ২১ বিঘা জমি,এছাড়াও নামে বেনামে ব্যাংকে রয়েছে ৮০ কোটি টাকা এফডিআর।এছাড়াও ব্যাবহারের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল ৪টি গাড়ি যার একেকটির বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা সমপরিমাণ।
এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য সংগ্রহ করার কারণেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার পুরা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে গণমাধ্যমে ঘটনার জানাজানি হয়ে গেছে বলেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রাণে বেঁচে যাওয়া।
ফিল্ম স্টাইলে কাজী জেবুন্নেছা বেগম নিজে একজন মহিলা হয়ে আরেক জন নম্র ভদ্র মহিলার উপর নিজে নির্যাতন করতে বুক কেঁপে ওঠে নি।
অর্থ এবং ক্ষমতার জোরে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে শুধু মাত্র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য।
নির্যাতিত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পরিবারের পক্ষ আশংকা প্রকাশ করে জানান জেলের ভেতরে যেকোন কৌশলে রোজিনা ইসলাম কে হত্যা করা হতে পারে বলে দারুণ শংক্ষা প্রকাশ করেন।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৯মে/জই