ধনবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত মামলার মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় সাবেক ফুটবলার এর উপর হামলা দোকান ভাংচুর
আহত ৬
টাংগাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বলদিআটা বাজারের চা ব্যবসায়ি আবুল কালাম এর চায়ের দোকানে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সন্ত্রাস বাহিনীর হোতা টাংগাইলের শেষ সাত্তার কান্দি বাসস্ট্যান্ড এর সু-মেল ব্যবসায়ি উপজেলার সিরনকাজী গ্রামের জামাল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া এখন বানিয়াজান এলাকায় আতঙ্গের নাম। জাহাগীর আলম বানিয়াজান ইউপি নিবাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নিবাচন করে আলোচনায় আসে।

আর নিবাচনে ব্যথ হওয়ার পর হতেই শুরু হয় এলাকায় একক আধিপত্য। যার রসনলের শিকার বলদিআটা বাজারের চা দোকানী মো:আবুল কালাম। গত কাল রাত ৯টার সময় চা দোকানী আবুল কালাম এর চা দোকানে হামলা চালিয়ে চায়ের কেতলির গরম পানি চা দোকানীর উপর ঢেলে দিয়ে সারা শরির জ্বলসে দেয় এবং হত্যার চেষ্টা করে।এমন সময় স্থানীয় দোকানীরা এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত কালাম কে উদ্ধার করে ধনবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আবুল কালাম ধনবাড়ী থানায় জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়াসহ তার বাহিনীর অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। আবুল কালাম ধনবাড়ী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার একজন রোমান সাবেক ফুটবলার ছিলেন তার উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়ার বাহিনী আবার এই ঘটনার কয়েক দিন আগে, সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত মামলার সাক্ষীর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সাক্ষীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় আঃ রশিদ বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় তিনি অভিযোগদিয়েছে জানাযায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের নলদাইর গ্রামের মৃত ফরহাদ হোসেন ভূইয়ার দুই ছেলে বাবুল আক্তার ও আজিজলের সাথে র্দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এনিয়ে আদালতে মামলা হলে আমাকে সাক্ষী করা হয়। এতে বিবাদীপক্ষ পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলার সিরনকাজী গ্রামের জামাল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন আমাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে দা, শাবল, লোহার রড, বাশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।এসময় আমাকে হত্যার উদ্যেশ্যে দা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে মাথা রক্তাক্ত হয়ে যায়। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এতে আমিসহ ফজলুল হক, আজিজল, রিমন আহত হন। আমাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার এস আই বশির উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/২৪এপ্রিল/জই