প্রবাসীদের ই-পাসপোর্টের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন:ডিজি পাসপোর্ট অধিদপ্তর
কোভিট-১৯ যখন সারাবিশ্ব কে নীরব করে ফেলছে ঠিক তখনো বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি ব্যস্ত রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্রুত সময়ের ভিতর ই-পাসপোর্ট হাতে প্রদানের জন্য।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রবাসীদের পাসপোর্ট সরবরাহ সচল রাখার প্রয়াসে।মেজর জেনারেল আইয়ূব আলী ২৯ জুলাই ২০২০ ইং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি হিসেবে যোগ দেন।যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি তড়িৎ গতিতে জনগনের হাতে পাসপোর্ট পৌছে দেয়ার জন্য আলোচনা করেন।করোনা কালীন পরিস্থিতি তে প্রায় দুই লক্ষ ১৪ হাজার পাসপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের হস্তান্তর করেন।প্রায় দুই বছর আটকে থাকা স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট দ্রুত সময়ের ভিতর তিনি প্রিন্টে পাঠান।
পাসপোর্ট সরবরাহের গতি সচল রাখতে গিয়ে শুধুমাত্র প্রিন্ট সেকশনে ৩৪ জন করোনা পজিটিভ হন এবং সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে পাসপোর্ট সেবা দিতে গিয়ে আরো ১৬ জন আক্রান্ত হন।সর্বমোট ৫০ জন সদস্য আক্রান্ত হন এ ভয়ানক কভিটে।কিন্তু তারপরও থেমে নেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তরিৎ গতিতে পাসপোর্ট সরবরাহের কাজ! ৪সদস্যের গঠিত টিম প্রতিনিয়ত খবরা খবর রাখছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আক্রান্ত ৫০ জনের।
ডিজি বলেন,জনগনের সেবার জন্য সরকার আমাকে এখানে দায়িত্ব দিয়েছেন।ই-পাসপোর্ট প্রবাসীদের হাতে তুলে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।করোনার জন্য ইউরোপের ভিসা বন্ধ থাকায় আমরা টিম পাঠাতে পারছি না,ওয়ার্ক স্টেশন ও বসাতে পারছি না।আমাদের সকল যন্ত্রপাতি রেডি।বৈদেশিক মিশন সমূহে ই পাসপোর্ট চালু করার অনুমতি পাওয়ার ১ সপ্তাহের ভিতর ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবে বাংলাদেশীরা।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ডিআইপি ডটগভ ডটবিডির তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য, যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয় সেসব হলো—ছবি, আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচােরর (পিকেআই) মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন। সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভাণ্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ/৯ নভেম্বর/বার্তা সম্পাদক