• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ভিয়েনায় জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

ভিয়েনা থেকে,ফারজানা শাহাজাদা লাভলী
আপডেট : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

ভিয়েনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন
ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং উৎসবের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক এক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রবাসী শিশু-
কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজনকরা হয়।


দিনের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের সাথে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
জানান।
বিকেল শুরু হওয়া আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি জন্মদিনের কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত । সঞ্চালনায় ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দুতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলাম ।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

‘স্বাধীনতার ৫০ বছরঃ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য ও বিশিষ্ট কবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন।

এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ,অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম,অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, রুহি দাস সাহা,আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক আহমেদ ফিরোজ, স্লোভেনিয়ার ছাত্র রাকিব হাসান রাফি, হাঙ্গেরির ছাত্র শাজান আলী, নিয়ামত আলী,অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ।

আলোচকগণ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম,পরবর্তীকালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।
তাঁরা বঙ্গবন্ধুর জীবানাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ মাতৃকার সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বর্ণাট্য কর্মজীবনের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রাম তাঁকে পরবর্তীতে বাঙালি জাতি বিনির্মাণের এক আপোষহীন, দৃঢ়চেতা ও অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব
সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল যার ফলে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ এবং দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিশন উপ-প্রধান রাহাত বিন জামান। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ী শিশু-কিশোরদের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ
মোনাজাত করা হয়।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৮মার্চ/জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ