বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি দেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ,মোঃ সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি উদীয়মান ও প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়ার দের সৃষ্টি সহ ফুটবলের পূর্ণ জাগরণের ও দেশের ফুটবল উন্নয়নের জন্য বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায়
দেশের ৬৪টি জেলায় বয়সভিত্তিক দলের জন্য প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাইয়ের কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছে। যার শুভ উদ্বোধন করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন
একটি দেশের ফুটবলের উন্নতি তখনই ঘটে যখন সেই দেশের পাইপ লাইনে যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকে। অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশ ঠিক এই জায়গাতেই পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বেশ কয়েকবার বয়সভিত্তিক একাডেমির কাজ হাতে নিলেও তা বাস্তবে কোনো ফল দেয়নি। তবে আবারো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সারা দেশ ব্যাপি প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আজ থেকে শুরু হলো দেশ ব্যাপি প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাইয়ের কার্যক্রম।
ঢাকাজেলার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই ট্যালেন্ট হান্টের যাত্রা শুরু হলো যা চলবে আগামী মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত। ঢাকার জেলার ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ঢাকা ছাড়াও একই দিনে আরও ৮ টি জেলায় এই বাছাই কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি সব জেলাতেও আয়োজিত হবে।
ঢাকা জেলার বাছাই পর্ব শুরুর আগে এই ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন,
“দেশব্যাপী ফেডারেশনের এই কার্যক্রম ধাপে ধাপে চলতে থাকবে। যতদিন নবনির্বাচিত কমিটির কার্যক্রম থাকবে ততদিন এভাবে খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজ অব্যাহত থাকবে। আমাদের ডেভেলপমেন্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এটা তিন চার বছর ধরে চলতেই থাকবে। যতদিন আমাদের টার্ম (মেয়াদ) আছে আশা করি তত দিন এটা চলবে।”
মাত্র একদিনেই একজন কিশোরের প্রতিভা খুঁজে বের করা কঠিন কাজ কি না সে ব্যাপারে কাজী মোঃ সালাউদ্দিন বলেন,
“এটা খুব কম সময় যাচাই করার জন্য। তবে এখান থেকে বাছাই করে আরো ১০-১৫ দিন সময় নিবো আমরা। তারপর বুঝতে পারবো কেমন প্রতিভার ফুটবলার পেলাম।”
এখান থেকে বাছাইকৃত ফুটবলারদের নিয়ে চার টি আলাদা বয়সভিত্তিক দলের কার্যক্রম করার ইচ্ছা আছে বাফুফের। তবে যদি বাংলাদেশ সরকার বাফুফেকে এই ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান দেয় তবেই এটা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। যদি সরকার থেকে অনুদান না পায় তবে বাফুফের নিজ অর্থায়ন দিয়ে কম পক্ষে দুইটি বয়সভিত্তিক দলের দীর্ঘ মেয়াদি কার্যক্রম চালানো হবে।
বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান জনাব আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন,
“আমি মনে করি আমাদের ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে আমাদের একটা ধাপ শুরু হলো। এই ট্যালেন্ট হান্টের দায়িত্ব শুধু বাফুফের না, সারা দেশের মানুষের। আমি আশাবাদী এদের ঠিক মতো ট্রেনিং করালে আমরা ভালো কিছু পেতে পারি।”
ঢাকার জেলার আজকের ট্যালেন্ট হান্টে আনুমানিক ৪০০-৫০০ তরুনরা মেসি রোনালদো দের মত দেশ সেরা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৩০ জানুয়ারি / জই