খুবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে আজ (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল , বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এই ৫ টি ছাত্র সংগঠনের যৌথ উদ্যেগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মইনুদ্দিন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিতু সরকার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাহুল বিশ্বাস , পিসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রিপন জ্যোতি চাকমা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামানকে উদ্দেশ্য বলেন, ভিসি দূর্নীতিবাজ, নিয়োগবানিজ্যকারী, নারী নিপীড়ক তাকে অপসারণ করতে হবে। অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। খুবি’র বর্তমান নীতিমালা অগণতান্ত্রিক যা বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে, উচ্চশিক্ষার চর্চার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে এই অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী নীতিমালা অতিসত্বর পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে দুই শিক্ষার্থী ও তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
দিলীপ রায় বলেন, একদিকে পুরো বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবলে নিমজ্জিত। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র। এই ফ্যাসিবাদী শাসন এবং শিক্ষাঙ্গনের প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রকে রুখতে হবে।
রাহুল বিশ্বাস বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা এমন ভয়ানক যেখানে একটা সাহিত্য পত্রিকা বের করা সম্ভব না। এখানে মানুষের কথা বলার কোন স্বাধীনতা নাই। অনিয়মই সেখানে নিয়ম,কণ্ঠরোধ করার সব ধরনের আয়োজন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় বহাল আছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২২ জানুয়ারি / জই