কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ৫২
ইয়াবার তকমায় আলোচিত সীমান্ত জেলা কক্সবাজার।পর্যটন নগরীর এই শহরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ঘিরে আশেপাশে গড়ে উঠেছে শত শত কটেজ সহ আধুনিক মানের হোটেল।ভ্রমন পিপাসুরা এখানে ভ্রমনের নামে মেতে উঠে রঙ্গ শালায়।পর্যটনকেন্দ্র হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিবীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী তাদের হালাল উপার্জনে অবৈধ পন্হায় বেশি অর্থ আয়ের মানসিকতায় স্বস্ব ব্যবসায় যোগ করেছে নিকৃষ্ট পতিতা ও ইয়াবার প্রচলন।
তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে প্রকাশ্যে চলে দেহব্যবসা। এসব হোটেল ও পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে প্রভাবশালীরা সহ অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, অ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলে আসছিল তা দীর্ঘদিনের।পূর্বে অনেকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতৃর্ক অভিযান চালানো হলেও থেমে নেই অসাধু চক্রের এই তৎপরতা।তবে এসব বন্ধে শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে বিপুল কটেজ ও হোটেল -মোটেল জোনের মধ্যে মাত্র ৪টি কটেজে অভিযান চালালে পতিতা, খদ্দের সহ জালে আটকা পড়ে অনেকেই।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় অভিযানে যায় সদর মডেল থানা। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে একজন কর্মচারী, সাতজন খদ্দের ও দুইজন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে একজন কর্মচারী, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আজিজ গেস্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও দুই যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথে সবাই পালিয়ে যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘হোটেল-মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান জেলা পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৯ জানুয়ারি / জই