• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ঝালকাঠিতে আধুনিক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে

বাধন রায় (বরিশাল) ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

ঝালকাঠিতে আধুনিক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে

ঝালকাঠিতে আধুনিক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। বসত বাড়ির উঠান বা বাড়ির সাথে কৃত্তিম ট্যাংক করে সেখানে অল্প যায়গায় লাভজনক এই মাছের চাষ করা যায়। এ চাষে প্লাবন বা বন্যা জনিত কারণে কোন ঝুকি থাকে না। তবে এই চাষে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া ও মান সম্পন্ন মাছের পোনা ও খাবার ফিড না পাওয়া এবং মাছের খাবার দাম চড়া থাকায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়। এছাড়াও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি এই প্রকল্পে কৃষি রেট না দিয়ে বানিজ্যিক রেটে বিদ্যুৎ বিল আদায় করায় লাভের অংশ বিদ্যুৎ বিল খেয়ে ফেলে বলে উদ্যোক্তারা দাবী করেছেন।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের জাকিরুউর রহমান এবং বড় কৈবর্তখালী গ্রামের কায়েম গাজি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন। শিক্ষ এই দুই যুবক করোনাকালীন পরিস্থিতিতে চাকুরি হারিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে এবং বসত ঘরের পাশে প্রকল্প গড়ে তোলেন। তারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই মাছ চাষের উপর ধারণা অর্জন করেন। উত্তর সাউথ পুর গ্রামের জাকিউর রহমান ২০২০ সালে বিসমিল্লাহ বায়োফ্লক মাছ চাষ প্রকল্প শুরু করেন। সে ৪টি কৃত্তিম ট্যাংক করে ১ লক্ষ ২০ হাজার লিটার পানিতে মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন করে ২৬ আগস্ট থেকে ১৭ হাজার পিস মনোসেক্স তেলাপিয়া ও ২ হাজার ৪শ পিস মিনার কার্প জাতের মাছের পোনা ছাড়েন। এপর্যন্ত সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এবং জানুয়ারি মাসে সাইজ অনুযায়ী বাজারযাত করার জন্য ২লক্ষ টাকার মাছ উত্তোলন করবেন। জাকিউর রহমান তার এই চাষের প্রথম ধাপ কাটিয়ে চাষ সম্প্রসারণ করবেন এবং ১৬ লক্ষ টাকা পুজি ব্যায় করে চাষাবাদ সম্প্রসারণ করবেন।
অনুরূপভাবে বড় কৈবর্তখালী গ্রামের কায়েম গাজী ৪টি কৃত্তিম ট্যাকং করে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ১লক্ষ ২৮ হাজার লিটার পানিতে ২০ হাজার পিস কৈ মাছ ও ২০ হাজার পিস মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের পোনা ছেড়েছেন। অবকাঠামোগত কাজ শেষে করে জুলাই মাসে পোনা ছেড়েছেন। আগামী জানুয়ারী মাসে বিক্রয় যোগ্য মাছ বাজারজাত করবেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সবমাছ বিক্রি করে নতুন পোনা ছাড়বেন। এপর্যন্ত তার ৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে নাম দিয়েছে গাজী এগ্রোফার্ম।
সম্প্রতি ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রকল্প ২টি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ছবি-১ ঝালকাঠির উত্তর সাউথপুর গ্রামে বিসমিল্লাহ বায়োফ্লক পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলীসহ অন্যরা
বিডিনিউজ ইউরোপ /২২ ডিসেম্বর / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ