• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

জানমাল রক্ষায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান গণসংগতির

গোলাম মোস্তফা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
আপডেট : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪

জানমাল রক্ষায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান গণসংগতি আন্দোলনের।গত ৭ আগস্ট ২০২৪, বেলা ৩ টায় হাতিরপুলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জানমাল রক্ষায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানে মিছিল করে গণসংহতি আন্দোলন। মিছিলটি শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায়।দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল সমাবেশে বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিদায় হয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতার এই বীরত্বব্যঞ্জক লড়াইকে অভিনন্দন জানাই। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এই অভ্যুত্থানের সকল শহীদকে। জাতি আজ স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখনও বিদ্যমান। এই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিদায় করে এক নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেশে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার নতুন এক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আন্দোলনের অর্জনকে কেউ যাতে কলুষিত করতে না পারে, ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সকল নাগরিককে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। কোনো প্রতিহিংসা নয়, জনগণের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নয়, ধর্ম পরিচয়ের কারণে কেউ যাতে সহিংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব। অভ্যুত্থানের সংস্থা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সকল রাজনৈতিক দলকে এখন দ্রুত দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপকে সুসংহত করতে হবে। দেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে নিয়ে শহীদের রক্তের প্রতিদান দিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সকলের জন্য একটা নতুন নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে হবে। কাজেই অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ ও জানমাল রক্ষায় আমরা সকলকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাই।”


তিনি বলেন, “আমরা অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে আহ্বান জানাই। আন্দোলনের শহীদ ও আহতরা যাতে ন্যায়বিচার পান তার লক্ষ্যে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানাই।”
তাসলিমা আখতার বলেন, “অভূতপূর্বক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্রসমাজ আমাদেরকে নতুন দিশা দিয়েছে। এই অর্জনকে আমাদের সকলে মিলে রক্ষা করতে হবে। এই বিজয়কে ছাত্র-জনতা সবাই মিলে পাহারা দিতে হবে। ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আহমেদ শাকিলসহ সকল শহীদ ও আহতদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, মানুষের সমস্ত অধিকার ধূলিসাৎ করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্র-তরুণসহ দেশের সমস্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের কাজ হবে।”
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, “স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এখনও আমাদেরকে রাস্তায় থাকতে হবে যাতে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসতে না পারে। শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। সারাদেশে পাড়ায় মহল্লায় ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস সহিংসতা প্রতিহত করতে হবে এবং জানমাল রক্ষা করতে হবে।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে মানুষ কথা বলতে পারে নাই। গুম খুন অপহরণ নির্যাতন করতে আয়নাঘর বানিয়েছে। আয়নাঘরে আটক রেখে হাজার হাজার মানুষকে আইন বহির্ভূতভাবে বর্বর নির্যাতন করা হয়েছে। অগণিত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই জুলুমের শাসন যেন আর ফিরে না আসতে পারে তার জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। প্রয়োজনীয় সংবিধানিক সংস্কারসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর করতে হবে। যে জবাবদিহিহীন স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো আছে সেটাকে উচ্ছেদ করতে হবে।”

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার ও মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা কমিটির সদস্য সচিব মনিরুল হুদা বাবন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহবুব রতন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য আইনুল হক, বেলায়েত সিকদার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক নুসরাত হকসহ নেতৃবৃন্দ।
bdnewseu/10August/ZI/Politics


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ