ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াল ৫ জুলাই ২০২৪ ইং।
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুক্র বারের ভোটের ফলাফলের পর দেখা গেছে, কট্টরপন্থি সাঈদ জালিলি এবং সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সমানে-সমানে টক্কর হয়েছে।প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের পোস্টার ইরানে শনিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই নেতার কেউই সরাসরি জয়লাভ করতে পারেনি, এর ফলে দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রয়োজন।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসির উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ফের লড়াই হবে।
শনিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেদুই নেতার কেউই সরাসরি জয়লাভ করতে পারেনি, এর ফলে দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রয়োজন।
দুই কোটি ৪৫ লাখ ব্যালটের মধ্যে মধ্যপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান (পেশায় হার্ট সার্জন) এক কোটি চার লাখ ভোট পেয়েছেন। কট্টরপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলি ৯৪ লাখ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী মুখপাত্র মোহেসিন ইসলামি এ কথা জানান।
সংসদীয় স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ পেয়েছেন ৩৩ লাখ, যেখানে শিয়া ধর্মগুরু মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি মাত্র দুই লাখ ছয় হাজার ভোট পেয়েছেন।
তাসনিম নিউজ এজেন্সি আগেই জানিয়েছিল, মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিরউত্তরসূরি বাছাইয়ে দ্বিতীয় দফা (রানঅফ) নির্বাচনের “ভালমতো সম্ভাবনা” ছিল।
ইরানের নির্বাচনী আইনের অধীনে ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম শুক্রবার দুই শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে ফের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কারণ কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। এই জন্য ‘রানঅফ’ বা ফিরতি লড়াইয়েরর জন্য নির্ধারিত তারিখ ৫ জুলাই।
ব্যাপক অসন্তোষ ইরান জুড়ে:
ভোটের প্রাক্কালে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ভুগছে। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার উপর কঠোর বিধিনিষেধের জন্য জনগণের ব্যাপক অসন্তোষের মুখে পড়েছে দলগুলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, শুক্রবারের ভোটদানের হার ঐতিহাসিকভাবে কম ছিল, মাত্র ৪০ শতাংশ। কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, এর মানে হলো দেশের জনগণের কাছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে গেছে।
৮০ জনের প্রাথমিক পুল থেকে মাত্র ছয়জন প্রার্থীকে দেশের কট্টরপন্থি ওয়াচডগ সংস্থা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দিয়েছিলো, তাদের মধ্যে দুজন পরবর্তীতে বাদ পড়েন।
সমস্ত প্রার্থী ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি অব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলোও রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে যা ফের বলবৎ হয়েছে। ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয় পরাশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। সেইসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মনিটরদের তরফে তাই এই নির্বাচনে কোনো তত্ত্বাবধান থাকছে না।
bdnewseu/29June/ZI/DW (রয়টার্স, এপি)