ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিক্ষোভ ।প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা নীতির বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছে।সোমবার (১৭ জুন) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সহজেরুজালেম পোস্ট এতথ্য জানিয়েছে।ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেসেটের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে পরবর্তীতে তা নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন পর্যন্ত যায়। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, সরকার যেন হামাসের সঙ্গে দরকষাকষি করে তাদের হাতে আটক বাকি জিম্মিদের মুক্তির উদ্যোগ নেয় এবং আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করে।উল্লেখ্য যে,গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে অতর্কিত হামলার ফলে অসংখ্য ইসরায়েলের নাগরিক নিহত হামাসের হাতে বন্দি হয়ে জিম্মি হয়ে আটক আছেনকয়েক শতাধিক। রয়টার্স জানায়, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মূল জনস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা করে পুলিশি ব্যারিকেড অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এদিকে ভয়েস অফ আমেরিকা জানায়,নেতানিয়াহু যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সপ্তাহে মধ্যপন্থী দুই সাবেক জেনারেল বেনি গ্যান্টজ ও গাদি এইসেনকট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিতই ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদের জেরে এই দুই নেতা পদত্যাগ করেন।
গ্যান্টজ অক্টোবর মাসে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুর জোট সরকারে যোগ দেন এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি জানান। অন্যদিকে
হোয়াইট হাউস সোমবার জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলি সরকারের ‘অভ্যন্তরীণ’ ও ‘নিজস্ব’ পদক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরায়েলি সরকারে কে থাকবেন বা থাকবেন না, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।
মিলারকে জিজ্ঞাসা করা হয় ইসরায়েলে সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কট্টর ডানপন্থীদের মতামত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কী না। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের বিবেচনায় যেসব নীতিমালা শুধু ফিলিস্তিনি জনগণ না, ইসরায়েলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অকার্যকর, সেগুলোর ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন তার দ্বিমতের কথা প্রকাশ্যে জানাবে।” যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জানিয়েছিল, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ফলপ্রসূ।
bdnewseu/20June/ZI/Israil