ঝালকাঠিতে ১৯ বস্তা সরকারি সার-বীজ জব্দ,চেয়ারম্যান -মেম্বার সহ ৩ জনের নামে মামলা।ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ও বাসা থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা সার ও বীজ জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০ কেজি করে ৬ বস্তা আউশ বীজ ও ৫০ কেজি করে ৭ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। তার সূত্র ধরে অপর একটি বাসা থেকেও ৬ বস্তা ব্রী-ধান জব্দ হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার, ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল সিকদার ও দোকানদার দীপক কুমার হালদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন সরকার।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. হেলাল উদ্দিন অটোরিকশায় পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করার সময় স্থানীয় লোকজন তা দেখে ফেলে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন পরিষদে অভিযান চালান। এসময় পরিষদের গোডাউনে ৬ বস্তা ব্রী-ধান ও ৭ বস্তা রাসায়নিক সার দেখতে পান। পরে স্থানীয় সাতানী বাজারের দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ৬ বস্তা ব্রী-ধান জব্দ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান বিন ইসলাম জানান, খরিপ মৌসুমে উফসি আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এ বছরের এপ্রিল মাসে উপজেলার ৩৭৫০ জন কৃষকের মাঝে কেজি আউশ বীজ, ড্যাপ সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়। আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ইউনিয়নে বরাদ্দ ৬২৫ জন কৃষকের তালিকা অনুযায়ী ১০ জনের গ্রুপ অনুযায়ী অফিস থেকে সার ও বীজ বুঝে নেয় কৃষকরা। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেই সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ না করে তার পরিষদের গুদামে এবং স্থানীয় সাতানী বাজারের দীপক হাওলাদারের বাসায় ৬ বস্তা ধান মজুত রাখে।
ওসি নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন বলেন কৃষি বিভাগ একটি মামলা করেছে। তদন্তে ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা বেরিয়ে আসবে।
bdnewseu/6June/ZI/Zalokati