• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের ষাট শতাংশ কাজ সম্পন্ন

জাবেদ নুর শান্ত ( বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু টানেলের ষাট শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানীর উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম টানেল।
বঙ্গবন্ধু টানেলের ষাট শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের বর্তমানে ষাট শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।দীর্ঘ প্রতিক্ষীত টানেলটির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশীদ চৌধুরী ৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদক কে বলেন, ‘প্রস্তাবিত টানেলটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯.৩৯ কিলোমিটার।

এরমধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলটির প্রধান অংশ যাবে, যার দৈর্ঘ হবে ৩.৩২ কিলোমিটার। এছাড়াও এই প্রকল্পটিতে ৭৪০ মিটার সেতুর পাশে ৪.৮৯কিলোমিটার সড়কও নির্মিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রিজ অথোরিটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেলটি নির্মাণ করছে। এটি দেশের প্রথম চার লেন বিশিষ্ট টানেল।

রশীদ আরো বলেন, চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি দেশের জন্য একটি বিশেষ সাফল্য।

২ হাজার ৪৫০ মিটার দীর্ঘ টানেল টিউবের বোরিং কাজের (যন্ত্রের সাহায্যে মাটি খনন) পাশাপাশি রিং স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় টানেল টিউবের বোরিং কাজ চলতি মাসে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এতে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ঝেনজিয়াং নগরীতে ১৯ হাজার ৬১৬টি মেগমেন্টের মধ্যে ১৭ হাজার ৭২৬টি মেগমেন্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ৬৪টি অংশ চট্টগ্রামের নির্মাণস্থলে আনা হয়েছে এবং আরো ৯ হাজার ৭৮৪টি মেগমেন্ট নির্মাণাধীন টানেলে স্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক আশা করছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে এই টিউবগুলোতে রিং স্থাপনের কাজ আগামী ২০২১ সালের মে থেকে জুন মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

টিউব দুইটি লেন চারটিকে এক করবে এবং প্রতিটি টিউব ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু হবে।

এতে আরো বলা হয়, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটবে, যানজট হ্রাস পাবে। পাশাপাশি টানেলটি এই অঞ্চলের সাথে গোটা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে অবদান রাখবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর এই টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকা। চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে ৫হাজার ৯১৩.১৯ কোটি টাকা দেবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১১ ডিসেম্বর / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ