পালিত হয়েছে বিশ্ব মা দিবস ।’মা’ ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক হচ্ছে মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। মায়ের সন্মানে, মাতৃত্ব, মাতৃক ঋণপত্র ও সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য সম্মান প্রদর্শন হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উদযাপন করা হয় মা দিবস বা মাতৃ দিবস।এই মমতাময়ী মায়ের সম্মানে বাংলাদেশে প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসাবে আজ ১২ মে রবিবার অর্থাৎ বিশ্ব মা দিবস। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে নানা মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কথিত আছে, মায়েদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় “মা দিবস পালনের রেওয়াজ, কেননা সেখানে প্রতি বছর মে মাসের চতুর্থ রোববার’কে মাদারিং সানডে হিসাবে পালন করা হতো। তবে সতের শতকে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটান মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস। মায়ের সঙ্গে সময় দেয়া আর মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল তার দিনটির কর্মসূচিতে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ সালের ২ জুন।
১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। আনা জার্ভিস ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা। তার মা অ্যান মেরি সারাজীবন অনাথদের সেবা করে জীবন কাটিয়েছেন।
১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরির উৎসর্গিত জীবনের কথা অজানাই থেকে যায়। লোকচক্ষুর আড়ালে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস। জার্ভিস নতুন এক উদ্যোগ নেন। মা অ্যান মেরির মতো ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় ‘মা দিবস’। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে “মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।”
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় মাকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন জাতি এমন অনেক আচার অনুষ্ঠান পালন করত। তবে আধুনিক কালে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকেই প্রচলিত হচ্ছে মা দিবসের যাত্রা।
bdnewseu/12May/ZI/Mother’s day