• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বাংলাদেশী বড় ধাক্কা খেল ভোলার তুলাতুলি পার্কে বিনোদনের নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লিলতা ভোলায় সাংবাদিক নাহিদের উপর হামলা কারীদের গ্রেফতারের জন্য মানববন্ধন ভোলার আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহধর্মিণীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রতিবেশী দেশ সমূহের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের নতুন করে উদ্যোগ সাবেক সংসদ সদস্য সুমন গ্রেফতার উনাকে পল্লবী থানায় রেখেছেন ইউরোপিয়ান বাংলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলাল, সম্পাদক সুমন, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান নির্বাচিত নিরাপত্তার স্বার্থে সাকিব কে দেশে না ফেরার পরামর্শ: ক্রিড়া উপদেষ্টা আল্লাহ অহংকারীদের পছন্দ করেন না অস্ট্রিয়া তিন দলীয় কোয়ালিশন সরকারের পথে এগোচ্ছে
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ৯ ডিসেম্বর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন

বিডিনিউজ ইউরোপ ন্যাশনাল ডেক্স
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০

কোভিড-১৯ এর মধ্যে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নারী জাগরণের বীজ বপনের রুপাকার বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর একই দিনে জন্মদিন ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী ও ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৮৮০ সালে ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন পায়রাবন্দ, রংপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন।

তাঁর পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়।

তৎকালীন মুসলিম সমাজব্যবস্থা অনুসারে রোকেয়া ও তাঁর বোনদের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয় নি, তাদেরকে ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়। তবে রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি রোকেয়া ও করিমুন্নেসাকে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান।

১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। বিয়ের পর তিনি ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ নামে পরিচিত হন। তাঁর স্বামী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন, রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়।

১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। এর পাঁচ মাস পর রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন ভাগলপুরে। ১৯১০ সালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার ফলে স্কুল বন্ধ করে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। এখানে ১৯১১ সালের ১৫ই মার্চ তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল পুনরায় চালু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় ছাত্রী ছিল ৮ জন। চার বছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪-তে। ১৯৩০ সালের মাঝে এটি হাই স্কুলে পরিণত হয়।

স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
এই মহীয়সী নারীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে বিডিনিউজ ইউরোপ পরিবার মহান আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করছি যেন উনাকে বেহেশতের উত্তম স্থান দান করেন।
সূত্র – শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্ঠার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
বিডিনিউজ ইউরোপ /১০ ডিসেম্বর / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ