দোহায় হামাসের কার্যালয় বন্ধ করে দিতে পারে কাতার।আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলামন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে দেশটির সরকার। যার ভিত্তিতে রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যলয় থাকবে নাকি তা বন্ধ হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের এক কর্মকর্তা।
কাতার সরকারের পর্যালোচনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি হামাসকে দোহায় তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে কি না তা বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে সাত মাস ধরে চলা সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে কি না, বৃহত্তর পর্যালোচনায় সেই বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে কাতার।
এর আগে, গত মাসে কাতার জানায়, ইসরায়েল এবং হামাসের মাঝে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন করছে তারা। রাজনীতিবিদরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নেওয়া দোহার প্রচেষ্টাকে পয়েন্ট স্কোর করতে চাওয়ায় তাদের ভূমিকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে কাতার।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি কাতার মধ্যস্থতায় না থাকে তাহলে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় চালু রাখার কোনও মানে থাকবে না। যে কারণে এটিও পুনর্মূল্যায়নের অংশ।
তবে কাতার সরকার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে হামাসকে দোহা ছেড়ে যেতে বলা হবে কি না সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, চলমান আলোচনায় ইসরায়েল এবং হামাস কীভাবে কাজ করে, তার ওপর কাতারের নিজস্ব ভূমিকার পর্যালোচনার অনেক কিছু নির্ভর করছে।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, হামাস যদি ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে দোহা থেকে যেন গোষ্ঠীটিকে বের করে দেওয়া হয়, সেই কথা কাতারকে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, সম্ভাব্য গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে শনিবার কায়রোতে পৌঁছেছেন হামাসের আলোচকরা। হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে কিছু জিম্মিকে ইসরায়েলে ফেরত পাঠাবেন তারা।
গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
source-news24.tv
bdnewseu/5May/ZI/qatar