পর্তুগালে দুই দশক ধরে আটকে রাখা ব্যক্তিকে গুরুতর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে৷বুধবার পর্তুগালের পুলিশ এই গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে বলে, আটকে রাখা ব্যক্তিকে গুরুতর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে৷এছাড়া, এত বছর ধরে তিনি শ্রম নির্যাতনেরও শিকার হন৷ অভিযুক্ত চারজন এই ব্যক্তিকে অন্যান্য খামারে কাজ করতে ‘ভাড়ায়’ খাটাতেন৷
প্রায় দুই দশক ধরে নির্যাতন
আটক ব্যক্তির মানসিক দুর্বলতা রয়েছে এবং তার পরিবারেও কেউ নেই৷ প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করানো হলেও বিনিময়ে তাকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি৷ তার চলাফেরার ওপরেও ছিল অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ৷তার সমস্ত কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিও রাখা ছিল অভিযুক্তদের কাছেই, জানায় পুলিশ৷পুলিশ আরো জানায়, ‘‘তিনি অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে থাকতেন, রাত কাটাতেন একটি ভ্যানে… জীবনযাপনের ন্যূনতম মান ছাড়া, স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া, খারাপ খাবার খেয়ে৷ তিনি একটি গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হবার পরেও অভিযুক্তরা তার কোনো দিন চিকিৎসা করায়নি৷”
দীর্ঘ দিন ধরে চলা অত্যাচারের ফলে আটক থাকা ব্যক্তির চলাফেরার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ কোনোমতে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন এবং এখন বিশেষ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷অভিযুক্তরা কোন দেশের নাগরিক, তা জানায়নি পুলিশ৷ তাদের সকলেরই বয়স ৩৭ থেকে ৪৪৷ গ্রেপ্তারের পর, মানবপাচার, দাসত্ব ও জালিয়াতির দায়ে তাদের জেরা করা হবে বিচারকের সামনে৷
পর্তুগালে মানবপাচারের ঘটনা
পর্তুগালে, বিশেষ করে দেশটির কৃষিখাতে, বাড়ছে মানবপাচার ও শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা৷ বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন খামারে গরিব অভিবাসীদের কাজ করানোর ঘটনাও সামনে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে৷গত বছর নভেম্বরে, পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চল আলেনতেহোর কয়েকশ খামারে অভিযান চালায় পুলিশ৷ মানবপাচার ও শ্রমিক নির্যাতনের দায়ে গ্রেপ্তার হন ২৮জন৷
২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষ মোট এক হাজার ১৫২ জনকে মানবপাচারের শিকার হিসাবে চিহ্নিত করেছে বলে ২০২২ সালের জুনমাসে জানায় কাউন্সিল অফ ইউরোপ৷সেই সময়, সংস্থাটি জানায় যে, যত জন মানবপাচারের শিকারকে চিহ্নিত করা গেছে, সেই তুলনায় পর্তুগালে তদন্ত, বিচার ও শাস্তির সংখ্যা কম৷র পুলিশ এই গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে বলে, আটকে রাখা ব্যক্তিকে গুরুতর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে৷এছাড়া, এত বছর ধরে তিনি শ্রম নির্যাতনেরও শিকার হন৷ অভিযুক্ত চারজন এই ব্যক্তিকে অন্যান্য খামারে কাজ করতে ‘ভাড়ায়’ খাটাতেন৷
প্রায় দুই দশক ধরে নির্যাতন
আটক ব্যক্তির মানসিক দুর্বলতা রয়েছে এবং তার পরিবারেও কেউ নেই৷ প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করানো হলেও বিনিময়ে তাকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি৷ তার চলাফেরার ওপরেও ছিল অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ৷তার সমস্ত কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিও রাখা ছিল অভিযুক্তদের কাছেই, জানায় পুলিশ৷পুলিশ আরো জানায়, ‘‘তিনি অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে থাকতেন, রাত কাটাতেন একটি ভ্যানে… জীবনযাপনের ন্যূনতম মান ছাড়া, স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া, খারাপ খাবার খেয়ে৷ তিনি একটি গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হবার পরেও অভিযুক্তরা তার কোনো দিন চিকিৎসা করায়নি৷”
দীর্ঘ দিন ধরে চলা অত্যাচারের ফলে আটক থাকা ব্যক্তির চলাফেরার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ কোনোমতে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন এবং এখন বিশেষ চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷অভিযুক্তরা কোন দেশের নাগরিক, তা জানায়নি পুলিশ৷ তাদের সকলেরই বয়স ৩৭ থেকে ৪৪৷ গ্রেপ্তারের পর, মানবপাচার, দাসত্ব ও জালিয়াতির দায়ে তাদের জেরা করা হবে বিচারকের সামনে৷
পর্তুগালে মানবপাচারের ঘটনা
পর্তুগালে, বিশেষ করে দেশটির কৃষিখাতে, বাড়ছে মানবপাচার ও শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা৷ বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন খামারে গরিব অভিবাসীদের কাজ করানোর ঘটনাও সামনে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে৷গত বছর নভেম্বরে, পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চল আলেনতেহোর কয়েকশ খামারে অভিযান চালায় পুলিশ৷ মানবপাচার ও শ্রমিক নির্যাতনের দায়ে গ্রেপ্তার হন ২৮জন৷২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষ মোট এক হাজার ১৫২ জনকে মানবপাচারের শিকার হিসাবে চিহ্নিত করেছে বলে ২০২২ সালের জুনমাসে জানায় কাউন্সিল অফ ইউরোপ৷
সেই সময়, সংস্থাটি জানায় যে, যত জন মানবপাচারের শিকারকে চিহ্নিত করা গেছে, সেই তুলনায় পর্তুগালে তদন্ত, বিচার ও শাস্তির সংখ্যা কম৷
Source-dw,Reuters
bdnewseu/3May/ZI/Portugal