• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ন্যায় বিচার চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলো স্ত্রী- উম্মে হাফছা

তানজিল হোসেন, ভোলা
আপডেট : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

ন্যায্য বিচার চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলো স্ত্রী- উম্মে হাফছা।ভোলা বাপ্তা ইউনিয়ন এর উত্তর পশ্চিম চরনোয়াবাদ ৯ নং ওয়ার্ডের প্রতারক ভন্ড হুজুর মিজানুর রহমান যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন। মোঃ আবুল কাশেম এর বড় প্রতারক ছেলে মিজানুর রহমান (মিজানুর রহমান) এর আগেও দুইটা বিয়ের খবর গোপন রেখে তৃতীয় বারের মত বিয়ে করেন উম্মে হাফছাকে। গত ২১ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী উম্মে হাফছা সহ তার পরিবার সাংবাদিক দেরকে উম্মে হাফছা বলেন,২৬/ ০৯/২০ ২২ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়।

বিবাহের পর ২ থেকে ৩ মাস সুখে শান্তিতে কাটে আমার সুখের সংসার প্রথমে সে ধার স্বরূপ টাকা নিতে থাকে। এভাবে নিতে নিতে সে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে যৌতুক হিসাবে আরও ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবি করে এবং এই টাকার জন্য আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমার সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিতা মোঃ মহিউদ্দিন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দেয়। আমি অন্তঃসত্তা থাকা কালীন আমাকে আমার বাবার বাড়ি রেখে আসে আমার স্বামী মিজানুর রহমান। সে আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না।

অত্র বিষয় নিয়ে আমরা চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করি। কিন্তু চেয়ারম্যানের আদেশকে অমান্য করে। চেয়ারম্যানের নির্দেশে লিগ্যাল এইডে একটি দরখাস্ত জমা দেই। সে লিগ্যাল এইডের আদেশকেও অমান্য করে চলে আসে। পরবর্তীতে সে আরো যৌতুক দাবি করে যৌতুক না দিলে আমাকে তালাকের হুমকি প্রদান করে। বাধ্য হয়ে আমরা ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে আমরা একটি যৌতুক মামলা দায়ের করি মামলা সি.আর নং- ৫০/২০২৪ইং ভোলা। মামলার পরবর্তী তারিখে সে হাজির হয় এবং আমাকে স্ত্রীর প্রাপ্য মর্যাদা দিবে বলে নন জুডিশিয়াল ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসে।

২১/০৩/২০২৪ইং তারিখে আমি আমার স্বামী শ্বশুর বাড়িতে রওনা দেই। ইতিমধ্যে আমাকে মোবাইলে টাকা লোড করার অজুহাত দিয়ে ফেলে চলে যায়।আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে না আসায় শ্বশুর বাড়িতে যাই। শ্বশুর বাড়িতে গেলে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী সহ তার পরিবার যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বাশুরী, দেবর এবং সতীন মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন তারা সকলে আমার ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন আসে। এবং আমার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। খবর পাইয়া আমার অভিভাবক তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে এবং ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে থানায় হাজির হই।

আত্মীয় স্বজন পরামর্শে আমি ২৩/০৩/২০২৪ইং তারিখে কোর্টে মামলা দায়ের করি মামলা চলমান অবস্থায় সে আমাকে নোটিশ বিহীন একসাথে তিন তালাক প্রদান করে ০৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখ উল্লেখ্য করে।

অতএব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারদের কাছে আমি এর সঠিক ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রতাশা করতেছি বলে উল্লেখ করেন ভোক্তভুগী হাফছা।

bdnewseu/22April/ZI/bhola


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ