এক শতাব্দী পর নামাজের জন্য খুলেছে গ্রিসের ঐতিহাসিক মসজিদ ইয়েনি এবং সুলেমানিও:৯৮শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর দেশ গ্রিস মাত্র ২শতাংশ মুসলিমদের জন্য এবারের ঈদে প্রায় এক শতাব্দী আগের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাচীন রাজধানী থেসালোনিকির ঐতিহাসিক মসজিদটি পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য খুলে দিয়েছিলো।মুসলিমরা গত বুধবার পবিত্র উত্তর গ্রিসের থেসালোনিকির ইয়েনি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে ঈদুল ফিতর পালন করে।২০ শতকের প্রথম দিকের স্মৃতিস্তম্ভটি প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পরে নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিলো।গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে জনসংখ্যা বিনিময়ের পর ১৯২৫ সালে ইয়েনি মসজিদটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছিলো।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটি কয়েক ঘন্টার জন্যই শিক্ষা ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে প্রর্থনা সেবার জন্য হস্তান্তর করেছিল।পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মুসলমানকে স্বাগত জানানোর স্থানটির চারপাশে নিরাপত্তা কঠোর ছিল।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে রোদুস আইল্যান্ডের
আরেকটি ঐতিহাসিক মসজিদ সুলেমানিয়েও বুধবার নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
তাছাড়া গ্রিসের রাজধানীর ভোটানিকোসে স্থাপিত একমাত্র সরকারি মসজিদে শত শত মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।পাশাপাশি মুসলমান অধ্যুষিত শহর এথেন্স ও বাংলাদেশি অধ্যুষিত ছোট্ট শহর নেয়া মানোলাদায় বাংলাদেশি সহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলিম কমিউনিটিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মসজিদ রয়েছে যেগুলাতে মুসলমানেরা সারা বছর বিনা বাঁধায় নামাজ আদায় করে থাকেন।
মাত্র ২শতাংশ মুসলমানদের জন্য গ্রিক সরকারের এইসব ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রিসের বসবাসকারী মুসলমানদের ঈদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।দিন দিন গ্রিসে মুসলমানদের অধিকার বাড়ছে এবং মুসলিম ধর্ম সম্প্রসারিত হচ্ছে।
bdnewseu/12April/ZI/Greece