মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।দেশের ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, সমাজসেবা,শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য চলতি বছর একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। মনো নীতদের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। এর মধ্যে মৃত্যুর ৩৩ বছর পর একুশে পদক পাচ্ছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
জানানো হয়, এবার ভাষা আন্দোলনে ২ জন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ৪ জন, শিক্ষায় একজন একুশে পদক পাচ্ছেন।
ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক পাচ্ছেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া।
শিল্পকলার সংগীত শ্রেণিতে এ পুরস্কার পাচ্ছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। শিল্পকলার নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ পুরস্কার পাচ্ছেন।
অভিনয়ে ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী এ সম্মাননা পাবেন। আর শিল্পকলার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী একুশে পদক পাচ্ছেন।
সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু একুশে পদক পাচ্ছেন। ভাষা ও সাহিত্যে পাচ্ছেন মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’র মতো অসম্ভব সুন্দর আর জনপ্রিয় গানসহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বেঁচে থাকা এই কবি।
১৯৮৯ সালে গান রচনা ও সুরারোপে আত্ম নিয়োগ করেন রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তাঁর বিখ্যাত ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটি এ সময়ে লেখা। উল্লেখ্য, পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরনোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটি চলচ্চিত্রের জন্য গিয়েছিলেন প্রয়াত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তিনিও এবার মরোনোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন।
bdnewseu/14february/ZI/bd