দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর লিটন নিহত।দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ব্যস্ততম এলাকা হিলব্রুতে নুরুল হুদা লিটন (৩০) নামের এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে এক সন্ত্রাসী। নিহত লিটনের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুইয়া উপজেলায়। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাত আটার সময় জোহানেসবার্গের হিলব্রুতে তার নিজ দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, নিহত নুরুল হুদা লিটন (৩০) ঘটনার সময় দোকানে সামনে হাতে মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোক জনসম্মুখে লিটনকে পেছন থেকে দুই রাউন্ড গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ গুলিবিদ্ধ লিটনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে লিটন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সেখানে জোহানেসবার্গের হিলবো শহরে তার ছোট ভাইসহ দীর্ঘদিন ধরে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। সাত মাস আগে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল লিটনের।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়ত উল্লাহ বিডিনিউজ ইউরোপ কে বলেন, লিটন সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, তার (লিটনের) মৃত্যুর বিষয়টি অবগত হয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ দেশে আনার জন্য সহায়তা করা হবে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে তার পরিবারের জন্য সরকার নির্ধারিত অনুদান যেন খুব দ্রুত পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য ফেনী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাবেক গাড়ি চালক এবাদুল হকের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে লিটন ছিল সবার বড়। তার মেজো ভাই সৌদি আরবে এবং ছোট ভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সাথে থাকতেন।
প্রবাসীরা ধারণা করছেন, নুরুল হুদা লিটন টাগের্ট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশী কমিউনিটি সূত্র জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। লিটনের এমন মৃত্যুতে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
bdnewseu/27January/ZI/SouthAfrica