গাজার বৃহত্তম হাসপাতালের পরিচালক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে মারা যাওয়া শিশু, রোগীসহ ১৭৯ জনকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে একটি ‘গণকবরে’ দাফন করা হয়েছে।আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়াহ জানান, হাসপাতালের জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কবর দেওয়াদের মধ্যে সাত শিশু ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের ২৯ রোগী ছিল। মঙ্গলবার একজন পুরুষ এবং একজন নারী আইসিইউতে মারা গেলে ওই ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯। ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করেনি।
সালমিয়াহ বলেন, ‘গণকবরে দাফন করতে আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে এখনো মৃতদেহ পড়ে আছে এবং মর্গে বিদ্যুৎও নেই।’এদিকে হাসপাতালের ভেতরে থাকা একজন সাংবাদিক বলেছেন, হাসপাতালের সর্বত্র পচনশীল মৃতদেহের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সোমবার থেকে মঙ্গলবার রাতে যুদ্ধ ও বিমান হামলা আগের রাতের তুলনায় কম তীব্র ছিল বলেও জানান তিনি।
ইসরায়েলি ট্যাংগুলো আল-শিফা হাসপাতালের গেটে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, হাসপাতালটিতে হামাসের ব্যবহৃত একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টার রয়েছে। তবে এ অভিযোগ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি অস্বীকার করে।
উল্লেখ্য, পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। এর পর থেকেই হামাসকে ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।
সূত্র : এএফপি
বিডিনিউজইউরোপ/১৪নভেম্বর/জই/গাজা