ভোলায় প্রসংশাপত্রের নামে চলছে লুটপাটের বাণিজ্য।ভোলা সদর উপজেলার ১০ নং ভেলুমিয়া ইউনিয়নে চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রসংশাপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জুয়েল এর বিরুদ্ধে। জানা যায় প্রশংসাপত্র বিক্রি ৮’শত থেকে ১ হাজার টাকার পর্যন্ত যদি টাকা কম দিতে চায় অভিভাবকদের লাঞ্ছনা সহ অপমানিত, অশুভ আচরণ করেন অভিভাবকের সাথে।চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ তার অফিস সহকারী মামুন, গত ০৬ নভেম্বর (সোমবার) এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মারজিয়া বেগম, এর বড় ভাই মোঃ হোসেন। মারজিয়ার এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, মাকসীট নিতে গেলে তার ভাই হোসেনকে অফিস সহকারী মামুন অখ্যাত ভাষায় তুই তুগারি করে বলেন, অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে যা। তোকে আমি চিনি না মাকসীটে তোর বাবা মায়ের নাম তাদের কাছে মাকসীট দিব।
ভুক্তভোগী হোসেন বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, একজন শিক্ষার্থীর বড় ভাই অভিভাবক হয়ে যখন স্কুলে যাই তখন আমরা অভিভাবকরা বেশির ভাগ সময় নানান ভাবে অপমানিত হচ্ছি। ভুক্তভোগী আরও বলেন, প্রসংশাপত্র বিক্রির নামে যে তালবাহানা তারা শুরু করেছে তা কিন্তু সকলের চোখে দৃশ্যমান, এবং আমরা জানি মাকসীট ফ্রি এর জন্য কোনো টাকার প্রয়োজন পরে না। কিন্তু মাকসীটের টাকা দিতে অশিকার যানালে জোড়গলায় বলে, তোর চাকুরী করি ফ্রিতে হবে না, কিন্তু যখন গণমাধ্যম ফোনে টাকার বিষয় টি জানতে চায় তখন প্রধান শিক্ষক জুয়েল সম্পন্ন অশিকার করে বলেন, আমরা মাকসীটের জন্য কোনো টাকা নিচ্ছি না। টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রসংশাপত্রের জন্য।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে যে লুটপাটের বাণিজ্য তারা শুরু করছে স্কুল গুলোতে এবং টাকার নিচ্ছে কেনো জানতে চাইলে অফিস সহকারী সন্ত্রাসীদের হুংকার দিয়ে বলে, তুই কে তোকে আমার বলতে হবে আমার পরিচয় এবং টাকা কেন নিচ্ছি, এই হচ্ছে ভেলুমিয়া কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী থেকে প্রধান শিক্ষক দের অবস্থা। মূল্য নেই মাকসীটের তারপরও নিচ্ছে ৮শত টাকা প্রসংশাপত্রের। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না, ভোলার চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ বলেন, আমরা বাণিজ্য মুক্ত শিক্ষা চাই, তখন আমরা খুশির আনন্দে আপ্লূত হয়ে পড়ি। কিন্তু যখন চারিদিকে শিক্ষার নামে লুটপাট আর হাতছানি তখন বুঝতে বাকি থাকে মেরুদণ্ড হত্যার মত শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা মনে করি আমাদের তরুন প্রজন্মের জন্য এক ভয়াবহ শিক্ষা কাঠামোর উপর দিয়ে বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থা চলতাছে। তারি উদাহরণ হিসেবে দেখা মিললো ভেলুমিয়ার চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ভেলুমিয়া ও চরসামাইয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকগণ তাদের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করে জানতে পারি মাকসীট ও প্রশংসাপত্র সম্পূর্ণ ফ্রি এ সমস্ত খরচ বাবদ সম্পূর্ণ টাকা ফর্ম ফিলাপের সময় নিয়ে নেওয়া হয়। তারা আরও বলেন, মাকসীট ও প্রসংশাপত্রের জন্য কোনো ছাত্র/ছাত্রী যদি খুশি মনে দু’একশত টাকা দেয় তাহলে সেটা নিতে পারে। এর বাহিরে বেসি টাকা দাবি করাটা একধরনে চাঁদাবাজি বলে মনে করেন।
প্রশ্ন হচ্ছে? স্কুলে কোন বাধ্যবাধকতা নেই তাহলে চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল কি দিন দুপুরে বাণিজ্য ব্যবসা খুলে বসেছে? তার মুঠোফোনের কথায় স্পষ্ট দীর্ঘদিন যাবত সে এই শিক্ষা বাণিজ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিতর চালান। একজন ছাত্র ছাত্রীর দশ বছরের সাধনার প্রসংশাপত্র এটি যদি কিনে আনতে হয় স্কুল থেকে ৮’শত টাকা দিয়ে তাহলে ওই শিক্ষার্থী কি শিখবে?
মুঠোফোনে কথা হয়, চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুয়েল এর সাথে তার সাথে যোগাযোগ করে জানা যা, প্রতিষ্ঠানের প্রসংশাপত্র ছাত্র-ছাত্রীদের দিতে আমি টাকা চাইতেই পারি। ৮’শত টাকা করে নিচ্ছি, আবার অনেকে টাকা ছাড়াই নিচ্ছে, এতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তাদের উপরে নেটওয়ার্ক আছে।
চন্দ্রপ্রসাদ কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয় কথা বলার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করি। ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীপক হালদারের সাথে কিন্তু মুঠোফোনটি ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিক তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।শিক্ষা বাণিজ্যের হাতছানি জীবনের সঙ্গে মহান ব্রতের সংযোগকে বিচ্ছিন্ন করে। শিক্ষকদের মনকে করা উচিত প্রলুব্ধ, ফলপ্রসূ পাঠদানের জন্য যে ঐকান্তিক।
bdnewseu/8thNovember/ZI/bhola