• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

নতুন অভিবাসী নেবে না পূর্ব জার্মানির অভ্যর্থনা কেন্দ্র

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

নতুন অভিবাসী নেবে না পূর্ব জার্মানির অভ্যর্থনা কেন্দ্র
পূর্ব জার্মানির শহর সুল-এ একটি অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্র সেটির স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪০০তে নেমে আসার আগ পর্যন্ত নতুন কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছ। রবিবার(১ অক্টোবর) পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে আনুমানিক ১ হাজার ৬০০ অভিবাসী অবস্থান করছিলেন৷পূর্ব জার্মানির রাজ্য থুরিঙ্গিয়াতে অবস্থিত শহরটির একটি প্রাথমিক অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্র গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে।এমন পরিস্থিতিতে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন করে আর অভিবাসীকে স্থান না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ।বুধবার ২০০ জন অভিবাসী আসার পর শুক্রবার সন্ধ্যাতেই আরো ১৩০ জন কেন্দ্রটিতে আসেন। শনিবারও বাসে করে আরও বেশ কয়েকজন অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্রটিতে আসেন। এরপরই অভিবাসন মন্ত্রণালয় নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে।

সুল শহরের কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪০০ জন। কিন্তু স্থানীয় কর্মকর্তারা তথ্য অনুযায়ী মাত্র ৮০০ জন অভিবাসীকে পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে কেন্দ্রটির। রোববার পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্তত এক হাজার ৬০০ জনের। অর্থাৎ, সেবা দেয়ার ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। এখন এই কেন্দ্রে আসা নতুন অভিবাসীদের পার্শ্ববর্তী আইজেনব্যার্গ এবং হের্মসডর্ফের কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে।

থুরিঙ্গিয়া রাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী গ্রিন পার্টির নেতা ডোরেন ডেনস্ট্যাড্ট বলেছেন, কেন্দ্রটির ওপর চাপ কমানোর জন্য এই ব্যবস্থা জরুরি ছিল। রাজ্য প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, অভিবাসীর সংখ্যা এক হাজার ৪০০ তে নেমে আসার আগ পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।

ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল ইনফোমাইগ্র্যান্টস তাদের এক
প্রতিবেদনে জানিয়েছে,জার্মানিতে শরণার্থী নেয়ার সংখ্যাটিকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সীমিত রাখতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমাইয়ার৷ একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে ইউরোপ অভিবাসন ইস্যুতে সংকট মোকাবিলা করে চললেও, এর সহজ কোনো সমাধান নেই৷

সোমবার(২ অক্টোবর)সন্ধ্যায় জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি-এর টাগেসটেমেন অনুষ্ঠানে যোগ দেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের (শরণার্থী) আগমন সংখ্যার একটি সীমা দরকার, এটি নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷’’

অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে জার্মানির কঠোর অবস্থান, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেসব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে কিংবা যাদের আবেদন অনুমোদনের সুযোগ একেবারেই নেই তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোসহ একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন স্টাইনমাইয়ার৷

তিনি বলেন, ‘‘যদি আমরা এই নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করতে পারি, এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে, আমরা এখন ঠিক পথে আছি, তাহলে জার্মানিতে আগমনের সংখ্যা কমবে৷’’ অভিবাসনকে ‘একটি শ্রমসাধ্য বিষয়’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷

জার্মানিতে অবশ্য প্রেসিডেন্টের ভূমিকা শুধু রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি খুব আশা করি, এটি (অভিবাসন সংকট) একবার যদি আমাদের পিছনে ফেলতে পারি, তবে জলবায়ু ইস্যুটি উত্থাপিত হবে, সেখানে গণতান্ত্রিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে একটি বোঝাপড়ায় আসতে পারে৷’’

হেসে এবং বাভারিয়ান (Bayarn) রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে জার্মানির রাজনীতিতে অভিবাসন আবার প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আর সেই আলোচনায় অভিবাসন বিরোধী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দৃশ্যত এগিয়ে রয়েছে৷ জার্মানিতে আসতে চাওয়া শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা এই মুহূর্তে খুব বেশি বলে মনে করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও৷

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জার্মান ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্ক রেডাকৎসিয়নসনেটৎসভের্ক ডয়েচলান্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে জার্মানিতে ঢোকার চেষ্টারত শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি৷’’ অর্থের বিনিময়ে পোলিশ ভিসা, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিন্ন অভিবাসন নীতি প্রণয়নের প্রচেষ্টা এবং জার্মানিতে অভিবাসন নীতি নিয়ে চলমান অসন্তোষের মধ্যে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর৷ বলেছেন, সীমান্তকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে চাইছে তার সরকার৷

আশ্রয় আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া অভিবাসীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় রয়েছেন মধ্য ডানপন্থি খ্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটস নেতা ফ্রিডরিশ মের্ৎস৷ আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়াদের উদ্দেশ করে বিরোধী এই নেতা বলেছেন ‘‘তারা দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান, নিজের দাঁতটি নতুন করে তৈরি করেন৷’’

বিডিনিউজ ইউরোপ/৪অক্টোবর/জই/জার্মান


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ