চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপনের, ভয়ে আতঙ্ক পুরো ভোলাবাসী রক্ষাপেতে বিশাল বিক্ষোভ।সদর উপজেলা বাংলা বাজার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন, হাত থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না তার উদাহরণ হিসেবে কর্তৃক মৎস্য অফিসার।
অফিসারকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান স্বপন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজির এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নানান দূর্নীতির অভিযোগ। সে সকল বিষয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতা ভোলাবাসী ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে প্রতিবাদের ব্যানারে এক বিশাল প্রতিবাদ মানববন্ধন করছে দ্বীজেলা ভোলাবাসী।২৩সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে ভোলাবাসী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করেন। মানববন্ধনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেছেন। এ সময় তারা চাঁদাবাজ দক্ষিণ দিঘলদী ইউপি ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপনের কঠোর বিচার দাবি জানান, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান স্বপনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ’সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব। মানববন্ধনে ভোলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জহুরুল ইসলাম নকীব বলেন, দক্ষিণ দিঘলদী চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন, তার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে আসছে এক অদৃশ্য শক্তির কারনে। দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে হকার, রিকশা, অটো ড্রাইভার, মাইক্রোবাস চালক’সহ কেউ তার হাত থেকে নিরাপদ নয় বলে জানান, বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, ভোলার বাঘমারা শত শত একর জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ভোগ যাচ্ছেন। তার ভয়ে জমির মালিকরা’ও সেখানে যেতে সাহস পাচ্ছে না। জমির প্রকৃত মালিক দেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয় এই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান স্বপন। দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন থেকে ভোলাগামী ট্রাক বোঝাই মাছ ও অন্যান্য পণ্য থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। ভোলার তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করেন, যার কারণে দক্ষিণ দিঘলদীর ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক বহু পরিবারের মানুষ নদী ভাঙ্গণের কারণে ভিটেমাটি হারিয়ে উদ্ভাস্তুতে পরিণত হয়েছেন।

স্বপন চেয়ারম্যানের নৈতিক চরিত্র এতটাই অশ্লীল যার কারণে এলাকায় নিরাপদে কিশোরী বালিকা এবং মা বোন রাও স্কুল’সহ কলেজগামী চলাচলে মেয়েরা নিরাপদ নয়। ২০১১-সালে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় চাঁদাবাজী, লুটপাট, সন্ত্রাস ও অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আঙুল ফুলে কলা গাছ না হয়ে তিনি হয়েছেন বটগাছ। বক্তারা আরও বলেন, গত কয়েক দিন আগে স্বপন চেয়ারম্যানের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান। যার ফলে স্যোসাল মিডিয়ায় তীব্র থেকে তীব্রতার ঝড় উঠেছে।

এক জন সরকারী কর্মকর্তার সাথে যদি এরকম অশোভন আচরণ করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে কেমন আচরণ করবে তা অবশ্যই ভোলাবাসী জানেন। ওই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তার ভয়ে আতঙ্কে মধ্যে থাকে সব সময়ে, এই মানববন্ধন থেকে চেয়ারম্যান স্বপনের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর-তম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

বিডিনিউজ ইউরোপ /২৪সেপ্টেম্বর/জই/ভোলা