• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

সন্ত্রাস-দখলমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলন

তানজিল হোসেন, ভোলা
আপডেট : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সন্ত্রাস-দখলমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলন।রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ছাত্র আন্দোলনের কার্যকর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ আওয়ামী লীগের পতনের সাথে সম্পর্কিত হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের গদি রক্ষায় বাংলাদেশকে বাজি রেখেছে। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিনত করে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তারা তাদের একচেটিয়া ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, ৭১-এর ঘাতকের ন্যায় আজ গণমানুষের মুখোমুখি হয়ে ভয় ও ত্রাসের মাধ্যমে সকল বিরোধি মত-পথকে দমনে হুংকার দিচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্পষ্ট ঘোষনা ছিলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যয়বিচার। গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাবিত ৩১-দফার আলোকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তই পারে মুক্তিযুদ্ধের সেই আকাঙ্ক্ষার পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।

৫২-বছরের পুরোনো সব রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ভেংগে গেছে। রাজনীতি আর সাধারণ মানুষের হাতে নেই, তাই মানুষ এখানে নাগরিক পরিচয়টাই হারাতে বসেছে। অধিকার বোধ ক্রমশ ক্ষমতাসিন’দের কৃপা কিংবা অনুগ্রহের বিষয়ে পরিনত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতা বানদের একটা শ্রেনীর হাতে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা আজ জিম্মি হয়ে গেছে। তারই প্রতিফলন দেশের প্রত্যেক স্কুল, কলেজ ওবিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। ছাত্রলীগের একক আধিপত্যের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জিম্মি। তারা লড়াইয়ের শক্তি হারাতে বসেছে।

জবাব দিহিতা হীন বেপোরোয়া ক্ষমতা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী-দখলবাজ সংগঠন হিসেবে পরিনত করেছে। রাষ্ট্র ও শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশ যেনো শিক্ষার্থীদের স্বাধীন বিকাশের পথে বাধা না হতে পারে সেই জন্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাঙ্গণে বিদ্যমান ছাত্র রাজনীতির কাঠামোর মধ্যেও প্রয়োজন নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত।যে বন্দোবস্ত সকল রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করবে,জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে গবেষনা, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সকল বুদ্ধিবৃত্তিক ততৎপরতার পথকে প্রশস্ত করবে।

ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের লড়াই তাই এই সময়ের প্রধান মুক্তির প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সমাধান ছাড়া এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক মুক্তি অসম্ভব। বর্তমান ফ্যাসিস্ট শাসকদল ও শাসনকাঠামো যত দীর্ঘস্থায়ী হবে সামাজিক নৈরাজ্য তত বৃদ্ধি পাবে, মানুষ তার অন্তর্নিহিত সংগ্রামের শক্তি হারিয়ে ফেলতে থাকবে। গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের পথ সকল দিক থেকে সংকুচিত হয়ে বিভেদ-বিভাজনের পালটা ফ্যাসিস্ট মতাদর্শের রাজনীতি ক্রমশ মানুষের মধ্যে জায়গা করে নিবে।

বাংলাদেশকে রক্ষায় ছাত্র আন্দোলনের যে ঐতিহ্য তা শাসকশ্রেনীর নানান সিদ্ধান্ত ও নীতির কারনে আজ বিভ্রান্ত, অসংগঠিত ও পথভ্রষ্ট। ছাত্র আন্দোলনের দেশ প্রেমিক ধারা হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন মনে করেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর করে এক দিকে ছাত্র সমাজের সামনে যেমন নতুন স্বপ্ন তৈরি করতে হবে। একই সাথে ভয় ও দখলমুক্ত গণতান্ত্রিক ধারার শিক্ষাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়ে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে রাজপথে নামিয়ে সর্বসাধারনের মধ্যে ঐক্যের বার্তা পৌছে দিতে হবে।

বাংলাদেশকে রক্ষায় দানবীয় রাষ্ট্রশক্তির বিপরীতে কার্যকর আন্দোলনের শক্তি গড়ে তোলা এখন সময়ের ঐতিহাসিক কর্তব্য, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জীবনের সর্বোচ্চ ঝুকি সত্ত্বেও সেই কর্তব্য পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাত্র সমাজ এর কথা মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের বাইরে আমাদের আর কোন স্বার্থ নেই। আমরা মহাকালের যাত্রী। এই যাত্রায় মুক্তিকামী মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। এই লড়াইয়ে বর্তমান জাতীয় সংকটে কার কি ভূমিকা তার ভিত্তিতেই আমরা আমাদের লড়াইয়ের সাথী নির্ধারন করব।

পরিশেষে, আমরা জানি আজকের যে সাথী কাল হয়তো তার বিরুদ্ধেই আমাদের দাড়াতে হতে পারে, সেটা ভবিষ্যৎ প্রয়োজন নির্ধারন করবে কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিনতি পূর্বেই বিবেচনা করে জাতীয় সংকটে পরিবর্তনের পথকে প্রশস্ত করার বদলে কোন সুবিধা বাদি অবস্থান গ্রহন করা মানে জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সাথে বেঈমানী করা। আমরা সকল গণতন্ত্রকামী,মুক্তিকামী দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতি আহবান জানাই,আসুন জাতীয় সংকটে বাংলাদেশ রক্ষায় গণতান্ত্রিক উত্তরনের নতুন স্বপ্ন ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে মানুষের সামনে হাজির হই।
সভাপতি,
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।।
বিডিনিউজইউরোপ/১৮সেপ্টেম্বর/জই/গণসংহতি


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ