বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন – পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।”মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ড. ইউনূসের পক্ষে যারা চিঠি লিখেছেন, তারা (বিচার) প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।” তিনি জানতে চান যে বিশ্বে এমন কোনো উদাহরণ আছে কি-না, যেখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, আর তা তদন্ত করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “আমি যা বলতে চাই তা হলো; এখানে অতীতে সরকারের কোনো প্রভাব ছিলো না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।” চিঠির বিষয়টিকে হতাশাজনক উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “তাদের অবশ্যই রায় মেনে নেয়ার সাহস থাকতে হবে। আর, আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান আগে শোনা যায়নি।”
যারা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে চান, সরকার তাদের স্বাগত জানায় বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে যারা এই আহ্বানে যোগ দিচ্ছেন, তারা নিজেদের সুনামের সঙ্গে যথাযথ ন্যায়বিচার করছেন বলে আমি মনে করি না।” “আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না;” উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উল্লেখ্য যে,বাংলাদেশের শ্রম আদালতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে আরো ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেদিন এ মামলা দায়ের হয়, সেদিনই অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
২৮শে অগাস্ট প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিষয়ে তারা শঙ্কিত এবং এর মাধ্যমে তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ইউনূস ‘ধারাবাহিক বিচারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন’।
খোলা চিঠিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন – যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা, আয়াল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন ও ইরানের শিরিন এবাদি।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৯ আগস্ট/জই/ইউনূস