উত্তর ভারতের সাত রাজ্য বন্যা কবলিত ।জুলাই মাসে মাত্র সাত দিনের বৃষ্টিতে উত্তর ভারতের সাতটি রাজ্যের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী দিল্লির অবস্থাও ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে ঘরেও নিরাপদ নন হিমাচল প্রদেশের মানুষ।সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, বন্যায় জলে ভেসে গিয়ে, বাড়ি ও ধসে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবে একটি বাস জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। বাসের সব যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বর্ষার শুরুতে উত্তর ভারতেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়নি। তাই উত্তর ভারতের সাতটি রাজ্য যখন বন্যার কবলে তখন দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র দুই শতাংশ বেশি। যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং মানালিতে বৃষ্টিপাত বিগত ৪০ থেকে ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার ১০ জুলাই স্বরাষ্ট্র দফতরের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি রাজ্যগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সোমবার দীর্ঘ বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-ও। তিনি দিল্লির নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি দোষারোপের রাস্তায় হাঁটেননি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বন্যায় মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সাত রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বলেছেন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৩জুলাই/জই/ভারত