ওয়াশিংটনে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও আবদুল মোমেনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বাংলাদেশে যাতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচনা বক্তেব্যে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ভয়েস অফ আমেরিকা এবং বিবিসি। তিনি আরও বলেছেন, ‘’বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেজন্য আমরা তো অবশ্যই, সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।”
আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের জন্য একটি জোরালো উদাহরণ তৈরি করতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিস্টার ব্লিঙ্কেন এমন এক সময়ে এ কথা বললেন, যখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জোরালো আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে পশ্চিমা দেশেগুলোর পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় সে তাগিদ দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতেও সমালোচনা করেছে আমেরিকা। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নানা তৎপরতা নিয়ে খোলাখুলিভাবে সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা।
এদিকে সোমবার বাংলাদেশের সংসদে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের আগে আগে বাংলাদেশের সংসদে দেয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘’যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে। তারা গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাতে গণতান্ত্রিক কোন অস্তিত্ব থাকবে না।‘’
ওয়াশিংটনে সোমবার বৈঠকের আগে মিস্টার
ব্লিঙ্কেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি বলেন। পরে এই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষাভাষী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। সেখানে তার বক্তব্য বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘’মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি বলেছি, অবশ্যই, এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য। আমরাও একটা মডেল নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও সাহায্য করেন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি।‘’
বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন দেখতে চায় বলে এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১২এপ্রিল/জই