নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের একাত্মতা প্রকাশ ও দাবি বাস্তবায়ন
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের মহামারীর ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এমতাবস্থায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দাবী নিয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়। এর আগে গত ২৯ নভেম্বরে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আনিসুল ইসলাম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম আদির স্বাক্ষরিত কয়েক দফা দাবী সমন্বয়ে একটি স্মারকলিপি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাটের নির্দেশনায় ও উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যের নিকট দেয়া হয়। কিন্তু কোনো প্রকার সুষ্ঠু সমাধান না আসায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং মুহুর্তেই শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে৷ আন্দোলনের এক পর্যায়ে কতৃপক্ষ ১২ পার্সেন্ট পর্যন্ত ওয়েভার প্রদান, বিলম্বিত ফি মওকুফ ও রেজাল্টের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানসহ অন্যান্য দাবীসমূহ মেনে নিতে সম্মত হয়৷ ফলে শিক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটায়।
আন্দোলনে একাত্মতা প্রসঙ্গে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজ বলেন, ‘অতীত ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা একাত্মবোধের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছি। তাদের প্রতিটি দাবী যৌক্তিক এবং কতৃপক্ষ দাবীগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করে আন্তরিকতার সাথেই তা শতভাগ পূরণ করবে বলে আমরা আশা করছি৷ দাবী পূরণে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে সম্মতি ও আশ্বাস জানানোই আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার প্রতিও যারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী আদায়ে সম্মুখ ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাট বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যাকে এড্রেস করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা সমাধানের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এটাই তো স্বাভাবিক৷ কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের ফলে বিভিন্ন দাবী ও চাহিদার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট, যা দুর্ভাগ্যজনক। সেই ধারাবাহিকতায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আদায়ে পাশে থেকেছে। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। পরিশেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের দুর্বার আন্দোলন ও নেতৃত্বের মাধ্যমে দাবী আদায় হয়েছে এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে কতৃপক্ষ দাবীসমূহ মেনে নেয়ায় আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষদেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি আরো বেশি আন্তরিক ও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানাই।’
ইতিপূর্বে নর্থ সাউথের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ এবং ইউজিসির নিকট স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েক দফা পেশ করেন তারা।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৫ নভেম্বর/জহিরুল ইসলাম