• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় সিজিপিএ বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ

গোলাম মোস্তফা রাজনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় সিজিপিএ বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পূর্বের জিপিএ বহাল রাখার দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিকেল ৪ টায় এই সংহতি সমাবেশ শুরু হয়। সংহতি সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পূর্বের জিপিএ ছিলো- মানবিক ৭, বাণিজ্য ৭.৫, বিজ্ঞান ৮। এখন প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে মানবিক ৮, বাণিজ্য ৮.৫, বিজ্ঞান ৮.৫। হঠাৎ করে ঘোষণা দেয়া অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। পূর্ববর্তী সিজিপিএ বহাল রেখে মেধা যাচাইয়ের সুযোগ সুনিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমান সরকারের ভোট লাগে নাই তারা নিজেদেরকে নিজেরাই সরকার ঘোষণা করেছে। কিন্তু পরিপূর্ণ প্রস্তুতি থাকার পরও করোনা মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, যার কারণে অটো-পাস ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। লুটেরা শাসকগোষ্ঠী মেধাবী প্রজন্ম চায় না। তাই তারা মেধা যাচাইয়ের আগেই ছাঁটাই করে চলছে। কাউকে অধিকার বঞ্চিত করে গণতন্ত্র হয় না, সুশিক্ষা হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি অবশ্যই মানতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেঘমল্লার বলেন, মেধার যাচাই-বাছাই করে অনুপ্রেরণা দেয়ার বদলে শিক্ষার্থীদের সুযোগ ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, সর্বত্র ছাঁটাই প্রকিয়া চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদেরকে অধিকার থেকে ছাঁটাই করতে ব্যস্ত। এটা অন্যায়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সায়েদুল হক নিশান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু খাই খাই করে। গবেষণাকাজে কোনো মনোযোগ নেই। আসন সংখ্যা কম এই অজুহাতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় বসতে দিবেন না এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিক বলেন, শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখেন না তারাই নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বসে আছেন। ফলে লক্ষ লক্ষশিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগ বাড়ছে।

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে জনগণকে নিপীড়ন নির্যাতন করে আসছে। শিক্ষাখাতকে বেসরকারি খাতে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মাত্র ৬.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী সরকারি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবল বৈষম্য চলছে, এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় বলেন, পরীক্ষায় বসতে পারা শিক্ষার্থীদের অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল পদে আসীন হবার পর তারা শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা ভুলে যায়।

ডাক্তার হারুন অর রশীদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা অসম্ভব কোন ব্যাপার নয়, পরীক্ষার না নিয়ে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত পূনর্মূল্যায়ন করা উচিত।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ তানজীম, ইয়াসিন আরাফাত, জাকিরুল ইসলাম জাকি, গাজী আরমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা টিএসসি চত্বরে এসে কর্মসূচি শেষ করেন।
বিডিনিউজইউরোপ টুয়েন্টিফোরডটকম/৪ মার্চ/ জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ