(উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন)
তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণের প্রথম পছন্দ সেজাম উদ্দিন
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া এখন ইউপি নির্বাচনের উত্তাপে সরগরম।ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে প্রায় দুই ডজন প্রার্থী এখন প্রস্তুুত।আগামী মার্চের প্রথমদিকে এ নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল।সাম্ভাব্য প্রার্থীরা ইউনিয়নের মাঠ প্রান্তর ঘুরে নিজের জন্য দোয়া চাইছেন অবিরত।এদের একজন সেজাম উদ্দিন।উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের মরহুম নুরুচ্ছফার (ডিলারের)কনিষ্ঠ পুত্র আপাদমস্তক একজন আওয়ামীলীগার।বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে তার।তাছাড়া তার পুরো পরিবারই আওয়ামীলীগের জন্য অন্তঃপ্রাণ।২০০১ সালে ছমদিয়া আলিম মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে অভিষেক তার।পরের বছর হন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সস্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং ২০০৩ সালে এ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।ছাত্র রাজনীতির পর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ রাইফেল বাহিনীতে যোগ দিলেও ২০১২ সালে অবসর নেন তিনি।চাকরি ছেড়ে তিনি পরের বছর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।এ সময় থেকে আজ অবধি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি সফলে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন সেজাম।এ সময়ের মধ্যে তিনি বি এন পি ও চারদলীয় জোটের নানা প্রতি হিংসার শিকার হন।এমনকি ২০০৪ সালে তাকে দাখিল পরীক্ষা দিতে দেয়নি প্রতিপক্ষরা।তিনি এবং তার পরিবার আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে জাতীয় সংসদ সহ স্হানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে গণসংযোগ ও প্রয়োজনীয় দলীয় নির্দেশ পালন করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে একই ভুমিকা দেখা যায় তার ও পরিবারের।এমনকি ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আশেক উল্লাহকে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য।আওয়ামী অনুরক্ত পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মনঃপ্রাণ উজাড় করেছেন দলের জন্য।শুধু সেজাম নয় তার অগ্রজ এ কে এম আজিজুল হক চৌধুরীও দলীয় সাংগঠনিক তৎপরতায় এখনো উজ্জীবিত।তিনি ৯০ এর তোকুড় ছাত্রনেতা থেকে এখন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলার সভাপতি।যেখানেই বিএনপি জামাতের দূর্গ সেখানেই দলীয় আদর্শ বিলিয়েছেন তার পরিবার অকাতরে।তার বোনরাও এ কর্মকাণ্ডে অনেকদূর এগিয়েছে বর্তমানে।বিগত নির্বাচন গুলোতে প্রচণ্ড সাহসে দলীয় প্রার্থীর এজেন্ট হিসাবে ভোটকেন্দ্রে অনন্য ভূমিকা রাখেন।সেজাম উদ্দিন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলোকে সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী করণে ভূমিকা নেয়ায় বিরুধী বিএনপি জামাতের চক্ষুশোলে পরিণত হন।এজন্য তাকে ২০০৫ সালে নালায় ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়।সেজামের পিতাও আমৃত্যু ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি।৭৫ পরবর্তী আওয়ামী ভক্ত এ পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন নেমে আসে তাও জনশ্রুত রয়েছে এলাকায়।পরে ৯৬ সালে আওয়ামী ক্ষমতায় আসলে এলাকায় ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ ও সামাজিক মর্যাদা ফিরে পায় তারা।এ পরিবারের আলোকিত সন্তান সেজামের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার খবর শোনে এলাকা বাসিও আনন্দে অভিভূত।তাদের প্রত্যাশা তাকে দল মূল্যায়ন করে নৌকার প্রার্থী করলে জয় হবে নির্ঘাত।তাছাড়া দলের জন্য ইতিপূর্বে ত্যাগতিতীক্ষার মূল্যায়ন করলে মনোনয়ন তাকে দিতে হবে এ ধারণা পুরো ইউনিয়নবাসীর।তাছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও প্রথম পছন্দ রাজনীতিক পরিবারের সন্তান অপূর্ব সাংগঠনিক কাণ্ডারি এই সেজাম।শুধুই রাজনীতি নয় দলীয় প্রধানের সংকটকালীন নির্দেশ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নানা ভূমিকাও সেজামের ক্যারিয়ারে সমুজ্জল।নিজ অর্থ ব্যয় করেছেন অদেখা শত্রু করোনা মোকাবেলায়।এছাড়াও গরীব হত-দরিদ্র পরিবারের দুঃখ মোছনে তার ও পরিবারের সাহায্য সহযোগীতা এখন স্হানীয়দের মুখেমুখে।আগামী নির্বাচনে কেন প্রার্থী হবেন এ প্রশ্নের উত্তরে সেজাম উদ্দীন বলেন,এ ইউনিয়ন সর্বাপেক্ষা অবহেলিত।তবে বর্তমান এমপি এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক।তার দিক নির্দেশনায় আমি কাজ করতে চাই এবং জননেতা ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে সংগঠন শক্তিশালী করার প্রবল ইচ্ছা আমার।এসব মহৎ কর্ম করতে গেলে জনপ্রতিনিধির বিষয়টি সামনে আসে।তাই আমি এই ইউনিয়নবাসীর সেবক হিসাবে এলাকার উন্নয়নে এবং এই ইউনিয়নকে মডেল হিসাবে রুপ দিতে চাই।তাই আমি জননেত্রী ও দ্বীপাঙ্চলের উন্নয়ন পুরোধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।আমার প্রত্যাশা দলীয় হাই কমান্ড কোনো হাইব্রিড ও সুঃসময়ের পরগাছাকে মনোনয়ন না দিয়ে দলের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেবেন এমন পরিক্ষিতকে আগামী ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেবেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৪ ফেব্রুয়ারি / জই