• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

লাশ হস্তান্তর নিয়ে সদর পুলিশের হয়রানী,হতভাগ্য পিতার আকুতি

এন আলম আজাদ ককসবাজার থেকে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

লাশ হস্তান্তর নিয়ে সদর পুলিশের হয়রানী,হতভাগ্য পিতার আকুতি

সন্তান হারানো পিতামাতা সহ তার পরিবারের সদস্যরা বুঝে স্বজন বিয়োগের কষ্ট কত?এমনই একটি দূর্ঘটনায় পতিত ইসলামপুর ইউনিয়নের এক হতদরিদ্র পরিবার।এক সন্তানের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে। অন্য সন্তান মৃত্যুর পদযাত্রী হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একদিকে পুত্র শোকে শোকাহত অন্যদিকে লাশ নিয়ে পুলিশের টানাটানিতে অসহায় হয়ে পড়ছে ঐ পরিবার।
২১ জানুয়ারী সকাল ৮টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও ইসলামাবাদের খোদাই বাড়ী রাশেদ ফিলিং স্টেশনের পাশে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ও অপর ভাই জাহেদুল গুরুতর আহত হন।
নিহত সাইফুল ও আহত জাহেদুল কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের জুমনগর এলাকার মো.ইলিয়াছের সন্তানদ্বয়।

পিতা মো.ইলিয়াছ চাচ্ছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিএম এর অনুমতি নিয়ে বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফন করতে।
আর কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই আবুল মনছুর চাচ্ছেন ময়না তদন্ত করে লাশ হস্তান্তর করতে।
তাহলে কি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর নির্দেশ আর জন্মদাতা পিতার আকুতি মুল্যহীন হয়ে পড়েছে ! এমনটি বলছেন নিহতের পিতা সহ স্হানীয় সচেতন মহল।
ইসলামপুর ইউনিয়নের জুমনগর ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আবদু শুক্কুর জানান,
সাইফুল ইসলাম (২২), জাহেদুল ইসলাম (২০)এই দু,সহোদর বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থল খরুলিয়া বাজারে আসার পথে মহাসড়কের ঈদগাঁও থানাধীন খোদাই বাড়ী রাশেদ ফিলিং স্টেশনের পাশে পৌছলে চকরিয়া অভিমুখী একটি প্রাইভেট কার তাদের ধাক্কা দেয়। এতে আরোহী দুই ভাই রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সাইফুল ইসলাম। এসময়
আহত জাহেদুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে প্রাইভেট কারটি ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশ আটক করেছে বলে সূত্র জানায়।

নিহত সাইফুলের বাবা মো. ইলিয়াস জানান, এক ছেলের লাশ হাসপাতাল মর্গে আরেক ছেলে অর্ধমৃত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমার ছেলের মরদেহ বিনা ময়না তদন্তে দাফনের জন্য কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) এর কাছে আবেদন করেছি। এডিএম মহোদয় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে ওসি কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে নির্দেশ দেন। কিন্তুু লাশের সুরতহাল তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর মডেল থানার এসআই আবুল মনছুর মির্জা চাইছেন লাশের ময়না তদন্ত করতে। এডিএম এর অনুমতি নিয়ে বিনা ময়না তদন্তে ছেলের লাশ দাফনের আবেদনটি রহস্যজনক কারণে পুলিশ শুনছেন না। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই আবুল মনছুর ময়না তদন্ত করে লাশ হস্তান্তর করতে চান বলে জানান ঐ দুই সহোদরের হতভাগ্য পিতা।
তিনি আরও বলেন,
তাহলে কি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর নির্দেশ আর আমি জন্মদাতা পিতা হিসাবে আমার আকুতির কোন মুল্য নেই?
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল গিয়াস এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য সরকারী মোবাইল নাম্বারে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।তবে ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র ঘোষ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন,এডিএম লিখে দিলেও আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করব, বিধি মোতাবেক লাশের ময়না তদন্ত হবে এবং আইনী প্রক্রিয়ায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২১ জানুয়ারি / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ