ক্ষণজন্মা কিংবদন্তির প্রভাময় জীবন উৎসর্গে বাংলাদেশ প্রাপ্তির ইতিকথা
বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষনের কিংবদন্তি “জিয়া”ধ্রুপদী দীপ্ত নবযুগের স্রষ্টা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত ক্রান্তিকালে আবির্ভূত হয়েছেন বীরদর্পে।নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তাকে তুচ্ছ করে অগ্রগামিতা অবিচল নির্ভীক অগ্রদূত রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় সমগ্র জাতি যখন দিশেহারা তখন তিনি জন্মভূমির স্বাধীকার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষায় নিজের জীবনকে অকিঞ্চিৎকরে পথিকৃৎ রূপে তার তুর্য কন্ঠে ঘোষনা করলেন প্রতীক্ষীয়মান সাত কোটি জনতার কাঙ্ক্ষিত ধ্বনি! ঘোষিত হলো স্বাধীনতা ।তাহার তুর্য কন্ঠের শাণিত ধ্বনিতে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে অগ্রজ নেতরিত্ব দিয়ে,একদিকে তিনি সশ্র হানাদার বাহীনির বিরূদ্ধে লড়াই করছেন, অপরদিকে তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান কে গ্রেফতার করে নিয়েযায় হানাদার বাহিনী । একদিকে মা তার দুই শিশু মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে বুকে জড়িয়ে প্রহর গুনছে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তির,অপর দিকে বাবা রনাঙ্গনের শত্রুর মোকাবিলা করছে নিজের জীবন তুচ্ছকরে। সেই বীর বীরের পরিবারের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের ঋণ চির অপরিশোধিত । জ্যোতির্ময় জিয়া দেশকে স্বাধীন করেই,গণমানুষের ভালবাসার সিক্ততাকেলালন করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষার অতন্ত প্রহরীর পবিত্র দায়িত্বে অবিচল থাকেন।অন্য দিকে ক্ষমতালোভী চক্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধিকে অবদমিত করে স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশৃঙ্খল,ব্যর্থ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার কূটকৌশল মঞ্চস্থ করার প্রাক্কালে আবার ধ্রুপদী দীপ্ত জ্যোতির্ময় জিয়া প্রজ্জ্বলিত হলো নবকান্ডারীর রূপে।১৯৭৫ সালের ৭ই নভম্বর সিপাহী জনতার ঐক্যে ধূলিসাৎ হলো সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার কূটকৌশল,পরাস্ত হলো সার্বভৌম বিরোধী অপশক্তির,শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে আরেকবার বিজয়ের হাসি হাসালো বাংলাদেশ কৃষক,শ্রমিক,সিপাহীওজনতা। এবার বিজয়কে অর্থবহ চূড়ান্ত বিজয়ের রূপ দিতে শহীদ জিয়া কৃষক,শ্রমিক,সিপাহীওজনতা সপ্ন পূরনে দায়িত্ব গ্রহণ করলে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে। বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এযাবৎ কালের বাংলাদেশের অন্যতম সফল রাষ্ট্র অধিনায়ক যার দক্ষ মেধাবী নেতৃত্বের অন্বেষণ , বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধিতে,পৃথিবীর বুকে আত্মমর্যাদা নিয়ে নিজেস্ব বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের উচ্চশিরে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল বাংলাদেশ ।সেই সমৃদ্ধ বাংলার রূপকার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতির জিয়াউর রহমানের আজ ৮৫তম জন্ম বার্ষিকীতে,বিনম্র চিত্তে তোমায় স্বরন করছে জাতি।আজ আবার গণতন্ত্রহীনতা বাকস্বাধীনতাহীনতা,অপশাসন,ন্যাক্কারজনকভাবে লঙ্ঘিত মানবাধিকার বিরাজমান শাসন ব্যবস্থায় জাতি এক ভয়ংকর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। এই ক্রান্তিকাল থেক জাতিকে পরিত্রাণ দিতে তোমার আদর্শ দীক্ষিত লক্ষ,কোটি জনতাকে আবার রাজপথে ঐক্য গড়ে তুলে আবার জাতিকে মুক্ত হবে।মুক্তির এই পত্যাশায় তোমায় স্বরন করছি হে বীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,তুমি চির অম্লান হে বীর,তুমি চির অক্ষয়…..
পলাশ আহমেদ
(সাংগঠনিক সম্পাদক ইউক্রেন বিএনপি,সভাপতি সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন ইউক্রেন শাখা।)
বিডিনিউজ ইউরোপ /১৮ জানুয়ারি / জই