ঢাকার কলাবাগানে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। আজ ৮ জানুয়ারি, ২০২১, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, পাহাড় এবং সমতলে ধর্ষণ, যৌন সন্ত্রাস ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই সকল ঘটনায় অপরাধীরা প্রায়শই পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচারহীনতার দরুন অপরাধী চক্র আরো শক্তিশালী হচ্ছে। আসলে সরকার ধর্ষক এবং অপরাধীদের পাহারা দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামির জামিন দেয়া হয়েছে! এই সকল ঘটনার ফলে একদিকে যেমন যৌন সন্ত্রাস, সহিংসতা বাড়ছে অন্যদিকে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের চূড়ান্ত অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী ধর্ষণ হত্যার ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অতীতের এ ধরনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলে এই ভয়াবহ সহিংসতা ও নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি নাও হতে পারতো। ধর্ষণ নারী নিপীড়ন বন্ধ করতে হলে ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের পুরুষতান্ত্রিক, নারীবিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির বদলের সাথে সাথে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী, সোহাগী জাহান তনু সহ বিগত দিনে যতগুলো ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেই সকল ধর্ষণ-হত্যা এবং সহিংসতার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্সের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের নেতা নাঈমা খালেদ মনিকা, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক সুস্মিতা রায়, যুব ইউনিয়নের নেতা আশিকুর রহমান জুয়েল সহ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গতকাল ৭ জানুয়ারি ঢাকার কলাবাগানে অবস্থিত মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে তার ৪ ক্লাসমেট গ্রুপ স্টাডির কথা বলে একটি বাসায় ডেকে নেয়। একপর্যায়ে সেখানেই তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে চারজন মিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকেই ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানার পুলিশ।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৮ জানুয়ারি / জ ই