অষ্ট্রিয়ায়”সম্পূর্ণ লকডাউন” ঘোষণা
অস্ট্রিয়ান সরকার আগামী ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে ৬ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত সমগ্র দেশে “সম্পূর্ণ লকডাউন” ঘোষণা করেছেন! ১৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে তবে কর্মজীবি অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে রেখে যেতে পারবেন। আজ শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান সেবাস্তিয়ান কুর্জ দেশে পুনরায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তিনি সংক্ষেপে জনগণকে এই লকডাউনের সময়”কারও সাথে দেখা করতে নিষেধ করেছেন।” আপনারা মানুষের সাথে যত কম যোগাযোগ বা সংস্পর্শে আসবেন করোনার সংক্রমণের বিস্তার তত দ্রুত হ্রাস পাবে।
স্কুল বন্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন,বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ বেশ বিতর্ক হয়েছে। কিন্ত করোনার এই আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিস্তার কমিয়ে আনতে আমাদের অবশ্যই স্কুল বন্ধের কোন বিকল্প নাই। তবে যেসব অভিভাবকরা কাজে যাবেন তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারী স্কুলে রেখে যেতে পারবেন। উপরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Distance Learning অর্থাৎ অনলাইন ক্লাশের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। প্রাইমারী স্কুলেও অনলাইন নেটওয়ার্ক School Fox এর মাধ্যমে হোমস্কুলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় স্কুল খুলবে। উপস্থিত এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ বলেন,সম্পূর্ণ লকডাউন চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র চারটি কারনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে।
একঃ পেশাদারী কাজের জন্য বা বাড়িতে কোন বিপদের আশঙ্কা দেখা দিলে, দুইঃ যদি অন্য কোন মানুষকে সাহায্য করার জন্য যদি সে একা চলতে বা অন্য কোন সমস্যায় পড়ে সাহায্য প্রার্থনা করে। তিনঃ জীবন চালানোর জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য এবং চারঃ ঘরে থেকে থেকে এক ঘেয়েমী আসলে,শরীর চর্চার জন্য বা কুকুর নিয়ে বাড়ি থেকে একা অথবা একই বাসায় বসবাসকারী অন্য একজনকে নিয়েও ঘর থেকে বের হওয়া যাবে।
আজ অস্ট্রিয়ায় করোনায় সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছেন ৭,০৬৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৫ জন। আজ অস্ট্রিয়ায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে Oberösterreich রাজ্যে ১,৬৬৫ জন। তারপর রাজধানী ভিয়েনায় ১,৩৩১ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NO রাজ্যে ১,০২৬ জন,Stmk রাজ্যে ৯৮২ জন,Tirol রাজ্যে ৫২৪ জন, Salzburg রাজ্যে ৫১০ জন, Kärnten রাজ্যে ৪৭৪ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৩৬২ জন এবং Burgenland রাজ্যে ১৯০ জন নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৮,৩৯১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১,৭৪৬ জন। করোনার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১,১৯,৪১৫ জন। বর্তমান করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭,১৩০ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৫৮৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪,০২৬ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১৪ নভেম্বর/ জহিরুল ইসলাম