• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান আসন্ন’

বিডিনিউজ ইউরোপ ন্যাশনাল ডেক্স
আপডেট : শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১

‘বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান আসন্ন’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দুপুর ১২ টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সজীব হোসেন, কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক তানভীর হাসান, টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক ফাতেমা রহমান বীথি, নারায়ণগঞ্জ জেলার অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাঙ্গন থেকে সংসদ সবখানে লুটপাট চলছে। বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের আর একবিন্দু আস্থা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা কিন্তু তাদের নামেই মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হচ্ছে। ফলে এদের প্রতিও মানুষের ভরসা নেই। কোনো প্রতিষ্ঠানই বিনা হয়রানিতে জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না।

বক্তারা পলিটেকনিক কলেজগুলোর চলমান সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরিবর্তনকামী ছাত্র, শিল্পী, কার্টুনিস্ট, লেখক, রাজনৈতিক সংগঠকদের নামে নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন করছে সরকার। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের নামে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান বক্তারা।

প্রধান বক্তা হিসেবে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিলো স্বাধীনতা, মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে উপনীত হলেও জনমানুষের সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয় নি, সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে। প্রতিদিনকার জীবনের যে বঞ্চনা সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমরা একটা চরম ফ্যাসীবাদী শাসনের মধ্যে আছি। আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফলে এই স্বৈরাচারী শাসনের বিপরীতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি নিরাপদ, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র-তরুণদেরকেই লড়াকু ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বলি- শত ফুল ফুটতে দাও, সরকার বলে- সব অধিকার কেড়ে নাও! সরকার বলে সব কুঁড়ি ছেঁটে দাও! আমরা বলি- কথা চলবে, কলম চলবে। সরকার ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করছে, মানুষের টুঁটি চেপে ধরছে। দুঃশাসনের এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান আসন্ন, আরেকটি গণঅভূত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রুপান্তর করতে হবে। আর এই লড়াইয়ে সমগ্র ছাত্রসমাজকে আমরা নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলকে চলমান ফ্যাসীবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও পলিটেকনিকের চলমান আন্দোলনের সংগঠক মোঃ নেছার উদ্দিন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাদিক রেজা, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক নবীন আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবীর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সুমাইয়া ইসলাম সোমা প্রমুখ।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২৯ জানুয়ারি / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ