অস্ট্রিয়ায় অভিবাসীদের জন্য সরকারি প্রণোদনা কমিয়ে দিতে চাচ্ছে।ইউরোপকে অভিবাসীদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগের অংশ হিসাবে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার এই প্রস্তাব রেখেছেন। অস্ট্রিয়ার মধ্য-ডানপন্থি সরকার প্রধান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার (ÖVP) সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসীন নীতি নিয়ে নর্ডিক দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সক্রিয় হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম এবং ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন সফর
করেছেন।অস্ট্রিয়া তথা রাজধানী ভিয়েনার অধিকাংশ রাজনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা করে আসছে। চ্যান্সেলর নেহামার চান, অভিবাসীদের অস্ট্রিয়ায় আসার পর প্রথম কয়েক বছর তাদেরকে দেয়া সরকারি প্রণোদনা কমিয়ে দিতে। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে অস্ট্রিয়া অভিবাসীদের কাছে বসবাসের জন্য কম আকর্ষণীয় দেশে পরিণত হবে।
ইউরোপে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানায়,ডেনমার্কে এ ধরনের নীতি এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। সুইডেনেও কট্টর ডানপন্থিদের সমর্থন নিয়ে মধ্য-ডানপন্থি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ফলে ইউরোপজুড়ে এই নীতি বাস্তবায়নে এই দুই দেশের সমর্থন চাচ্ছে অস্ট্রিয়া।অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেন,“আমরা অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে একই ধরনের মত পোষণ করি।” অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেন, “অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা আপনাদের সহযোদ্ধা।”
মেটে বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, আবারও ইউরোপে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।” এর ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া একটি বলেও জানান তিনি। এই ডেনিশ নেতার মতে, এর সমাধান খুবই স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, ইইউ ব্লকের উচিত, “ইউরোপে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করার আগেই এতে অনুপ্রাণিত হন, এমন প্রণোদনামূলক নানা বিষয় বন্ধ করা।”
নেহামার মনে করেন, অস্ট্রিয়ার জন্য এটি একটি ভাল উদাহরণ হবে। তবে নিজের দেশে অভিবাসীদের সামাজিক সমর্থন কমানোর এই পরিকল্পনার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তবে ডেনমার্ক এবং সুইডেনের সমর্থন নিয়ে অভিবাসন নীতি বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চায় অস্ট্রিয়া। জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা অভিবাসন ইস্যু নিয়ে ব্রাসেলসে বৈঠক করবেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৭এপ্রিল/জই