• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! হতাহতের ঘটনা ঘটেনি

কবির আহমেদ কূটনীতিক প্রতিবেদক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড!তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কক্সবাজারে অবস্থিত একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রায় ১২,০০০ মানুষ গৃহহীন করেছে।খবরে প্রকাশ রবিবার (৫ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি-ব্লকের আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন ব্লকের বসতঘরে ছড়িয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাতে উখিয়া থানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসাব দেয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ২ হাজার ঘর পুড়ে গেছে। ৩৫টি মসজিদ ও মাদ্রাসা পুড়ে গেছে। এ ছাড়া হাসপাতাল ও হেলথ সেন্টারসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুড়েছে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্প-১০ ও ক্যাম্প-১১ এর মাঝামাঝি বিভিন্ন ব্লকে আগুন লাগে। তিন ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থালের আশেপাশে আর্মড পুলিশের সঙ্গে থানা পুলিশের যৌথ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শরণার্থী যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে।

এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। তবে স্থানীয় একটি পক্ষের দাবি, পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নিজ ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

আপেল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন, এটা প্রতিবছরের মতো এনজিওদের একটা পলিসি! তাদের বাজেট শেষ হয়ে গেলে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের দিয়ে ঘর পোড়ানো হয়! রাসেল উদ্দিন নামের একজন বলেন, এতবড় অগ্নিকাণ্ডে ওরা কেউ পুড়ে নাই। কেন না, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন দেয়।নুরুল আমিন নামের একজন লিখেন, না জেনে মন্তব্য করার মানে হয় না। কী হয়েছে তা আল্লাহ জানে।

কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের শিবির পৃথিবীর অন্যতম বড় একটি শরণার্থী শিবির। ফলে এই
অগ্নিকাণ্ডের খবর মুহুর্তের মধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিতহচ্ছে। অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এই অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৭মার্চ/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ