ভোলায় এম পি শাওনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে দুদক
২৫ ফেব্রুয়ারি ( শনিবার ) উপজেলা ৩- আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম পি শাওন এর অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে নতুন দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, পূর্বের অভিযোগের সঙ্গে নতুন করে পাওয়া অভিযোগ গুলোও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দুদকের হাতে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ এবং তীর সংরক্ষণের কাজ কয়েকজন ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাগ– বাঁটোয়ারা করে দেন নুরুন্নবী চৌধুরী।
সেখান থেকে তিনি ৮- থেকে ১০- শতাংশ কমিশন নেন একইভাবে ভোলার লালমোহনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ( এলজিইডি ) প্রকল্পের কাজগুলোও তিনি ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে পছন্দের ঠিকাদার- দের কাছে বিক্রয় করে দেন, উপজেলা ভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কাজ উপজেলার বাৎসরিক বরাদ্দ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, জিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থও আত্মসাৎ হয়েছে বিশেষ করে স্থানীয় মেঘনা তেতুলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ।
লালমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট করে সরকারি সম্পত্তি চান্দিনা ভিটি হিসেবে পজিশন বিক্রি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সব ধরনের নিয়োগে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চুপ আছে, দুদকের সূত্রে জানা গেছে এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দুদক।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের মহা- পরিচালক ( প্রশিক্ষণ ) সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদকের দেওয়া দাপ্তরিক চিঠিতে নুরুন্নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে আগের অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৯- সালের অক্টোবরে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক তখন ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে তাঁর নামও আলোচনায় আসে। সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় দুদক। এক পর্যায়ে তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেয় দুদক।
তিন বছরের বেশি সময় হলেও তাঁর সম্পদের অনুসন্ধান শেষ হয়নি, ওই অনুসন্ধান কারী দলেরও প্রধান ছিলেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মহা- পরিচালক রয়েছেন এর মধ্যেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এল জিইডির প্রকল্প- সহ উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাৎসরিক বরাদ্দ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক। এ বিষয়ে সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে বলেন তখন ক্যাসিনো সম্পৃক্ত অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অনেক অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অনুসন্ধানকারী দলের কেউ অবসরে চলে গেছেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২৮ ফেব্রুয়ারি/জই